'শুভেন্দু অধিকারীই আমাকে খলিস্তানি বলেছেন'। পঞ্জাবের একটি সাংবাদ মাধ্যমে এমনটাই দাবি করেছেন আইপিএস অফিসার যশপ্রীত সিং। এদিকে, খলিস্তানি' মন্তব্যের প্রতিবাদে বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন শিখরা। তাঁদের দাবি, এই ঘটনায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে ক্ষমা চাইতে হবে। শুভেন্দু পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
পঞ্জাবের একটি চ্যানেলে যশপ্রীত সিং জানান,'বিজেপি বিধায়করা নন, খোদ শুভেন্দু অধিকারী আমায় খলিস্তানি বলেছেন। সেই ভিডিও রয়েছে আমাদের কাছে। এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করার জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' উনি কি ক্ষমা চেয়েছেন? যশপ্রীতের কথায়,'না, উনি যোগাযোগের কোনও চেষ্টা করেননি'।
রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার বলেছেন,'সকালে ধামাখালিতে ১৪৪ ধারা বলবৎ করার জন্য আমাদের বাহিনী ছিল। তার নেতৃত্বে ছিলেন আইপিএস যশপ্রীত সিং। উনি স্পেশাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট। সেখানে বিরোধী দলনেতা কয়েকজন সঙ্গী বিধায়ককে নিয়ে আসেন, সেই সময় যশপ্রীত সিংয়ের সঙ্গে তাঁর বাদানুবাদ হয়। তখন বিরোধী দলনেতা সরাসরি আঙুল উঁচিয়ে যশপ্রীত সিংকে খলিস্তানি বলেছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত। সমস্ত ধরনের প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেব। এটা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।'
এ দিন মহাত্মা গান্ধী রোডে মিছিল করেন শিখ সম্প্রদায়ের লোকেরা। সেই মিছিলের শুরুতেই ব্যানালে লেখা,'শিখরা ভারতীয়, খলিস্তানি নয়'। এক শিখ নেতা বলেন,'শিখ সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। দেশের জন্য বলিদান দিয়েছে শিখরা। আমরা সবাই মিলেমিশে থাকতে চাই।'
মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর নেতৃত্বে সন্দেশখালি গিয়েছিলেন বিজেপির নেতানেত্রীরা। ধামাখালি এলাকায় শুভেন্দুদের আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় কর্তব্যরত পাগড়িধারী আইপিএস অফিসার যশপ্রীতকে খলিস্তানি বলে মন্তব্য করা হয় বিজেপির তরফে। প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দেন যশপ্রীত। বলেন,'পাগড়ি পরলেই কি খলিস্তানি?' বিতণ্ডার ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে শুভেন্দু জানান, '২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রমাণ করতে না পারলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।'