scorecardresearch
 

Kolkata Air Quality: শীতের কলকাতার বাতাসে 'বিষ', কোন এলাকায় কত খারাপ? আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি

কলকাতায় জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। কুয়াশা থাকছে সকাল ১০ পর্যন্ত। রোদের দেখাও মিলছে না তেমনভাবে। প্রতিবছরই এসময়ে এরকম ঠান্ডা পড়ে। যেকারণে শীতের আমেজে খুশি শহরবাসী। কিন্তু এরইমধ্যে মাথাচাড়া দিচ্ছে অন্য বিপদ!

Advertisement
ময়দানে মাউন্টেড পুলিশের টহল। ছবি-পিটিআই ময়দানে মাউন্টেড পুলিশের টহল। ছবি-পিটিআই
হাইলাইটস
  • কলকাতায় জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। কুয়াশা থাকছে সকাল ১০ পর্যন্ত। রোদের দেখাও মিলছে না তেমনভাবে। প্রতিবছরই এসময়ে এরকম ঠান্ডা পড়ে।
  • যেকারণে শীতের আমেজে খুশি শহরবাসী। কিন্তু এরইমধ্যে মাথাচাড়া দিচ্ছে অন্য বিপদ!

কলকাতায় জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। কুয়াশা থাকছে সকাল ১০ পর্যন্ত। রোদের দেখাও মিলছে না তেমনভাবে। প্রতিবছরই এসময়ে এরকম ঠান্ডা পড়ে। যেকারণে শীতের আমেজে খুশি শহরবাসী। কিন্তু এরইমধ্যে মাথাচাড়া দিচ্ছে অন্য বিপদ! শুষ্ক আবহাওয়ায় কারণে কলকাতার বাতাসের গুণমান অনেকটাই নেমে এসেছে। রবিবার সন্ধে ৬টায় কলকাতার সাতটি বায়ু গুণমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে চারটি 'খুব খারাপ' বায়ুর গুণমান রেকর্ড করেছে। দুটি স্টেশন 'খারাপ' বায়ু রেকর্ড করেছে এবং একটি স্টেশন 'মাঝারি' রেকর্ড করেছে।

যে মনিটরিং স্টেশনগুলি 'খুব খারাপ' বাতাস রেকর্ড করেছে সেগুলি বালিগঞ্জ, ফোর্ট উইলিয়াম, যাদবপুর এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে রয়েছে। রবীন্দ্র সরোবর এবং বিধাননগরের স্টেশনগুলিও 'খারাপ' বাতাসের গুণমান রেকর্ড করেছে এবং বিটি রোডের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কেন্দ্রটি 'মাঝারি' বায়ু রেকর্ড করেছে৷

কদিন ধরে জাঁকিয়ে ঠান্ডা কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায়। কিছুদিন আগেও কলকাতার বাতাসের গুণমান এতটা খারাপ ছিল না। ৭ জানুয়ারি সন্ধে ৬টায় পাঁচটি স্টেশনে 'খারাপ' এবং দুটিতে 'মাঝারি' বাতাস রেকর্ড হয়েছিল। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধে ৬টায় পাঁচটি স্টেশন 'মাঝারি' বায়ু রেকর্ড করেছে এবং দুটি 'খারাপ'।

আরও পড়ুন

ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুসারে, খুব খারাপ দূষণে থাকলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। খারাপ বাতাসে থাকলে ফুসফুসের অসুখ হতে পারে। হাঁপানি এবং হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বস্তি হতে পারে। 

কলকাতায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের মান খারাপ হতে থাকে। রবিবার সকাল ১১টায় ৭টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ৬টি 'খারাপ' বায়ু এবং একটি 'মাঝারি' বাতাসের রিপোর্ট দিয়েছে। কিন্তু সন্ধে নাগাদ ৪টি স্টেশনের চারপাশের বাতাসের মান 'খুব খারাপ' হয়ে যায়।

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (পিসিবি) একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, যে কোনও সময়ে যে বায়ুর গুণমান পরিমাপ করা হয়েছে তা আগের ২৪ ঘন্টার মধ্যে বায়ুর মানের গড়। যানবাহন চলাচলের ফলে ধূলিকণা তৈরি হতে থাকে ফলে সকালের তুলনায় সন্ধের বাতাস খারাপ হয়। দিনের বেলায় জ্বালানি পোড়ানো এবং অন্যান্য কাজকর্মে বাতাসে দূষিত পদার্থ মিশতে থাকে। ফলে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর থেকেই বাতাসের মান খুব খারাপ হয়ে যেতে থাকে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, শীতের সময় মাটির কাছাকাছি বায়ু একটি বৃহত্তর উচ্চতায় ওঠার জন্য যথেষ্ট উষ্ণ হয় না, যার ফলে পৃষ্ঠের কাছাকাছি দূষিত বাতাস থেকে যায়। যেকারণেই শীতে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যায়।

Advertisement

গ্রীষ্মকালেও একই পরিমাণ দূষক বাতাসে নির্গত হয়, কিন্তু উষ্ণ বায়ু স্থলভাগের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিষাক্ত ধূলিকণা বহন করে তা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দূষণ একটু কম থাকে। এছাড়া শীতের তুলনায় গ্রীষ্মকালে বাতাসের বেগ বেশি থাকে। বর্ষাকালে দূষিত পদার্থগুলো বৃষ্টিতে ধুয়ে যায়। যেকারণে শীতে কাশি-ঠান্ডা, দূষণজনিত শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি বেড়ে যায়। খুব খারাপ বাতাসে টানা থাকলে ক্রনিক কার্ডিওভাসকুলার বা শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা হতে পারে বলেও মনে করেন চিকিৎসকরা।

 

Advertisement