আগামী জানুয়ারিতে বসতে চলছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। অন্য বছরের তুলনায় এ বারের বইমেলা এগিয়ে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার পাবলিশার্স এবং বুকসেলার্স গিল্ড সাংবাদিক বৈঠক করে জানায়, আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে ১৪ দিন ধরে চলবে বইমেলা। বইমেলা শেষ হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। এ বারের ‘থিম কান্ট্রি’ ব্রিটেন। থাকবেন অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরাও।
ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যের স্কুলগুলিতে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। তার আগে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বইমেলা শুরু করার ভাবনাচিন্তা ছিল গিল্ডের। মঙ্গলবার জানানো হলও তাই। তারা জানিয়েছে, জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে কলকাতা বইমেলা। গত বার ৩১ জানুয়ারি থেকে বইমেলা শুরু হয়েছিল। এ বারের বইমেলায় দু’টি শনি এবং রবিবার পড়েছে। ২৩ এবং ২৬ জানুয়ারি ছুটির দিন। ওই দিনগুলিতে ভিড় বেশি হওয়ার আশঙ্কা করছেন উদ্যোক্তারা। এ বারের মেলা গত বারের ভিড়কে ছাপিয়ে যেতে পারে বলেও তাঁদের অনুমান। গিল্ডের দাবি, গত বার বইমেলায় ২৬ লাখ মানুষ গিয়েছিলেন। বই বিক্রি হয়েছিল প্রায় ২৫ কোটি টাকার।
বৃহস্পতিবার গিল্ডের তরফে ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'গতবছর কিছু স্টল বাড়ানো হয়েছিল। এবছরও অন্তত ২ হাজারটি স্টলের আবেদন এসেছে। সবমিলিয়ে ১ হাজার স্টল তো হবেই।'
অনেকের দাবি,এবছর বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের হারের পর বাংলাদেশের তুমুল উল্লাসে ভাসে সেখানকার বহু মানুষ। এমনকি উচ্ছ্বাসে মিছিলও বের করা হয়। যার ফলে বাংলার বহু মানুষ মর্মাহত। এখানকার বহু মানুষ বইমেলায় বাংলাদেশকে বয়কট করার দাবি তুলেছেন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে। বিষয়টিতে ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'বইমেলার সঙ্গে ওসবের কোনও সম্পর্ক নেই। কে কোন দলকে সাপোর্ট করবে সেটা ক্রিকেটের বিষয়। এগুলো নিয়ে গিল্ডের কোনও বক্তব্য নেই। তবে প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশের বড় স্টল থাকছে।'
উল্লেখ্য, কলকাতা বইমেলায় এর আগেও দু’বার ‘ফোকাল থিম কান্ট্রি’ হয়েছে ব্রিটেন। এ বারেও ওই দেশকে বেছে নেওয়া হল। এ ছাড়া বইমেলায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে আমেরিকা, ফ্রান্স, ইটালি, স্পেন, তাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, পেরু, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া এবং জার্মানির প্রতিনিধিদের। ১২ বছর পরে আবার জার্মানি অংশ নেবে কলকাতা বইমেলায়।