কলকাতা পুরভোটে ইস্তেহার প্রকাশ করল তৃণমূল। দলে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন আসন্ন পুরভোটে তৃণমূলের ইস্তেহার সকলের সামনে তুলে ধরেন। মূলত ১০টি প্রতিশ্রুতির কথা ইস্তেহারে লেখা হয়েছে। দাম দেওয়া হয়েছে কলকাতার ১০ দিগন্ত। তালিকায় প্রথমেই রয়েছে নিকাশি ও নর্দমা ব্যবস্থা। সেখানে বলা হয়েছে, বৃষ্টির জেরে অতিরিক্ত জল সমস্যার মোকাবিলা এবং সমাধানের জন্য স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে। ২০০টি পাম্প সরবরাহ করার পাশাপাশি পাম্পিং স্টেশন এবং লাইনগুলির মানোন্নয়ন করা হবে। নর্দমাগুলিতে যাতে ব্লকেজ না থাকে, তার জন্য নিয়মিত পরিষ্কার করা হবে। টাইলস ও ফলক দিয়ে উন্মুক্ত নর্দমা ঢেকে রাখা হবে। সেইসঙ্গে রয়েছে জমা জল নর্দমা থেকে খাল পর্যন্ত নিকাশির সুবিধা, আদিগঙ্গা সংস্কারের মতো বিষয়।
এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় জল সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। জোড়াবাগান, গড়িয়া এবং জয় হিন্দ শোধনাগারের ক্ষমতাবৃদ্ধি এবং বিশুদ্ধ জল সরবরাহ নিশ্চিত করতে ৫০টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন স্থাপন করা হবে। প্রতিশ্রুতিতে বলা হয়েছে, শহরে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত আলো, সুলভ শৌচালয় এবং পার্কিংয়ের সুবিধা এবং সমস্ত নাগরিক সুযোগসুবিধা দেওয়া হবে। বাজারগুলির মানোন্নয়ন করা হবে। ফ্লাইওভার ও মেট্রোর পিলারগুলির সবুজায়নের প্রসার দেওয়া হবে। বিলুপ্ত লাইটগুলির জায়গায় এলইডি লাইট দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হবে। সমস্ত ওয়ার্ডে সর্বাধিক ৩০ মিটার দূরত্বে রাস্তায় বাতিস্তম্ভ স্থাপন। নারীদের জন্য বিশেষ শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
২৬৩টি মিউনিসিপ্যাল স্কুলের মধ্যে ১০০টি স্কুলকে ইংরেজি মাধ্যমে রূপান্তরিত কার হবে। স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। সেই সঙ্গে স্মার্ট ক্লাসরুম ও শিক্ষার্থীদের বিকাশকে আরও সমৃদ্ধ করা হবে। টিকাদান ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে। ৩০টি নতুন ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। আগামী ৫ বছরে বাসিন্দাদের আরও বেশি সুবিধা প্রদানের জন্য সংস্ত দরখাস্ত এবং কলকাতা পুরসংস্থার পরিষেবাগুলি অনলাইন সুবিধা করে দেওয়া হবে। এর বাইরেও আরও প্রচুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে।