গতবছরের মতো এবছরও কলকাতায় চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের ৬৫ শতাংশ ডেঙ্গির ঘটনা কসবা, বেহালা, নিউ আলিপুর, যাদবপুর-সহ ৬টি বরো এলাকা থেকে। রোজই নতুন নতুন আক্রান্তের খবর আসছে ওই এলাকাগুলি থেকে। তপসিয়া-তিলজলা এলাকা থেকেই প্রচুর সংখ্যক ডেঙ্গির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, ডেঙ্গি সংক্রমণের সংখ্যা বেশি এমন কয়েকটি বরো হল ৯, (টালিগঞ্জ, নিউ আলিপুর), ১০ (গড়িয়া, বাঁশদ্রোনি), ১১ (কসবা, আনন্দপুর, মুকুন্দপুর), ১২ (বেহালা), ১৩ (খিদিরপুর-মোমিনপুর) এবং ১৪ ( তোপসিয়া-তিলজলা)। প্রায় ১৪০০টি ডেঙ্গি সংক্রমণের খবর এসেছে ওই এলাকাগুলি থেকে।
পুর আধিকারিকরা ওই এলাকাগুলির খালি জায়গায় জমে থাকা বর্জ্য এবং নির্মীয়মান বাড়িগুলিকে মশার আঁতুরঘর হিসেবে চিহ্নিত করছেন। জানা গেছে, সেখানে বহু খালি প্লট রয়েছে। যেগুলিতে বাসিন্দারা বর্জ্য ফেলেন। এবং বিভিন্ন পাত্রে জল জমে মশার ডিম পাড়ার উপযুক্ত জায়গা রয়েছে। পুরসভার তরফে বেশকিছু খালি প্লট পরিস্কার করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেগুলিতে বর্জ্য ফেলছেন লোকজন।
উল্লেখ্য, কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গত পাক্ষিকের মধ্যে দ্বিগুণ হয়েছে। জানুয়ারী থেকে অগাস্টের মাঝামাঝি সময়ে ৭০০টিরও বেশি কেস রিপোর্ট করা হলেও, অগাস্টের মাঝামাঝি থেকে শেষের মধ্যে ওই একই সমান সংখ্যক কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল।
কলকাতা পুরসভা বা রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ ডেঙ্গি সংক্রমণের সংখ্যা বা ভেক্টর-বাহিত রোগে কতজন মারা গেছে সে সম্পর্কে কোনও সরকারী পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি। তবে পুরসভা সূত্রে খবর, যে এক পাক্ষিকের মধ্যে ডেঙ্গু সংক্রমণের সংখ্যা ৭০০থেকে ১৪০০ হয়েছে। অর্থাৎ দ্বিগুণ।
বরো ১১ কসবা, কালিকাপুর, মুকুন্দপুর এবং পাটুলির কিছু অংশ নিয়ে। সেখানে গত সপ্তাহে ১২০টিরও বেশি ডেঙ্গির ঘটনা ঘটেছে। বোরো ৯ থেকে ১৫০টি ডেঙ্গির খবর মিলেছে। এই বরোটি টালিগঞ্জ ও নিউআলিপুর এলাকাজুড়ে।
এদিকে, গত সপ্তাহেই নিউ আলিপুরের এক ৩২ বছর বয়সী মহিলা ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা ১০ বছরের একটি মেয়ে জুলাই মাসে ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছিল। নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনির বাসিন্দা ১৩ বছর বয়সী এক ছেলে অগাস্টে ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছিল।