সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলে এবং বিভিন্ন অসঙ্গতির ওপর সন্দেহ প্রকাশ করে। শুনানিতে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নতুন করে তোলা হয়, যা ঘটনার তদন্তে নতুন দিশা দেখাতে পারে।
১. চালান সংক্রান্ত প্রশ্ন
প্রধান বিচারপতি জানতে চান, বডির চালান কোথায় আছে। কপিল সিব্বল চালান খুঁজে পাননি এবং জানান, এটি কনস্টেবলের হাতে থাকা উচিত ছিল। বিচারপতি পর্দিওয়ালা বলেন, এই নথি যদি না পাওয়া যায়, তাহলে সন্দেহ উঠবে। প্রধান বিচারপতির মতে, এফআইআরে ১৪ ঘণ্টা দেরি হয়েছে।
২. পশ্চাৎদেশের চোট নিয়ে সন্দেহ
আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি দাবি করেন, ময়নাতদন্তে দেখা গেছে যে নির্যাতিতার পা ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে। এটা গুরুতর আঘাতের ইঙ্গিত দেয়। তাঁর মতে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে এক্স রে প্লেট মিলিয়ে দেখা উচিত।
৩. ভ্যাজাইনাল সোয়াব সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন
এফআইআর দেরিতে হওয়ায় ফরেনসিক টিম পাঠানো সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ করেন ফিরোজ এডুলজি। তিনি জানান, ভ্যাজাইনাল সোয়াব ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সংরক্ষণ করা উচিত ছিল, কিন্তু তা হয়নি।
৪. তদন্তের সময়ের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত
সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, ধর্ষণ ও খুনের প্রথম পাঁচ ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই সময়ে অনেক লোককে ঘটনাস্থলে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে, যা তদন্তকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
৫. সিসিটিভি ফুটেজ এবং ময়নাতদন্ত নিয়ে সন্দেহ
সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করে, সিসিটিভি ফুটেজ সম্পূর্ণ দেওয়া হয়েছে কি না। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় সিবিআইকে জানাতে বলেন যে তাদের ২৭ মিনিটের মোট চারটি ক্লিপিং দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের সঠিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি, এবং সিবিআই জানায় তারা রিপোর্ট নিয়ে সন্দিহান, তাই ফরেনসিক রিপোর্ট এমসে পাঠানোর প্রস্তাব করেছে।