scorecardresearch
 

সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়ের শরীরে একাধিক 'কাটা দাগ', নির্যাতিতার প্রতিরোধের জের?

আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারের ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ওপর সিবিআই-এর তদন্ত ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। সঞ্জয়ের উভয় বাহুতে পাওয়া একাধিক 'কাটা দাগ' থেকে সন্দেহ হচ্ছে যে. নির্যাতিতা চিকিৎসক তাঁর জীবনের শেষ মুহূর্তগুলোতে প্রবলভাবে প্রতিরোধ করেছিলেন।

Advertisement
হাইলাইটস
  • আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারের ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ওপর সিবিআই-এর তদন্ত ক্রমশ তীব্র হচ্ছে।
  • সঞ্জয়ের উভয় বাহুতে পাওয়া একাধিক 'কাটা দাগ' থেকে সন্দেহ হচ্ছে যে. নির্যাতিতা চিকিৎসক তাঁর জীবনের শেষ মুহূর্তগুলোতে প্রবলভাবে প্রতিরোধ করেছিলেন।

আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারের ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ওপর সিবিআই-এর তদন্ত ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। সঞ্জয়ের উভয় বাহুতে পাওয়া একাধিক 'কাটা দাগ' থেকে সন্দেহ হচ্ছে যে. নির্যাতিতা চিকিৎসক তাঁর জীবনের শেষ মুহূর্তগুলোতে প্রবলভাবে প্রতিরোধ করেছিলেন। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, সঞ্জয় রায়কে হেফাজতে নেওয়ার পর তার বাম এবং ডান হাতের কনুই পর্যন্ত কাটা দাগ এবং ডান নিতম্বে একটি বাহ্যিক আঘাত দেখা যায়। সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের মতে, সঞ্জয়ের এই আঘাতগুলো "প্রতিরোধের চিহ্ন" হতে পারে।

সঞ্জয় রায়ের দাবি অনুযায়ী, তার বাহুতে থাকা দাগগুলো নিজের হাত থেকেই লেগেছে, তবে তিনি কেন নিজেকে এমনভাবে আঘাত করবেন, তা ব্যাখ্যা করতে পারেনি। সিবিআই মনে করছে, এই আঘাতগুলো ধর্ষণ এবং খুনের সময় লেগেছিল এবং এটি প্রতিরোধের চিহ্ন হতে পারে।

তাছাড়া, সঞ্জয়ের ডান নিতম্বের ওপরের অংশে পাওয়া 'ইলিয়াক ক্রেস্ট'-এ আরও একটি কাটা দাগ রয়েছে। এই আঘাত ইঙ্গিত করে যে নির্যাতিতা প্রবলভাবে সঞ্জয়কে রুখার চেষ্টা করেছিলেন। সিবিআই মনে করছে, এই আঘাতগুলো সঞ্জয়ের সঙ্গে নির্যাতিতার লড়াইয়ের প্রমাণ হতে পারে।

আরও পড়ুন

মামলার আরও বিশদ তদন্তের জন্য, খুন হওয়া ডাক্তারের আঙুলের নখের স্ক্র্যাপিং ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। যদি এই স্ক্র্যাপিংয়ে পাওয়া চামড়ার টিস্যু সঞ্জয়ের ডিএনএর সঙ্গে মিলে যায়, তবে তা সরাসরি প্রমাণ করবে যে নির্যাতিতা এবং সঞ্জয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানির সময় ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অভিযুক্তের 'চিকিৎসা পরীক্ষার রিপোর্ট' বা 'জখম রিপোর্ট' চেয়েছিলেন। সিবিআইয়ের সলিসিটর-জেনারেল তুষার মেহতা জানান যে তিনি নিশ্চিত নন রিপোর্টটি আছে কিনা, তবে রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি কপিল সিব্বাল নিশ্চিত করেছেন যে রিপোর্টটি সিবিআইকে হস্তান্তরিত কেস ডায়েরির অংশ ছিল।

Advertisement

সিবিআই-এর তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, ফরেনসিক রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্যাতিতার শরীর থেকে সংগৃহীত তরলে থাকা ডিএনএ স্ট্র্যান্ডের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে, যা এই বিষয়টি নির্ধারণে সহায়ক হবে যে অভিযুক্ত একা ছিল নাকি এই জঘন্য কাজে একাধিক ব্যক্তি জড়িত ছিল। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে, এবং এখন সকলের নজর সিবিআই-এর তদন্তের দিকে।

 

Advertisement