scorecardresearch
 

Kolkata Heat Island: তীব্র গরমের কারণ ফাঁস, কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চল পরিণত হয়েছে হিট আইল্যান্ডে

কলকাতায় এখন ৪০ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা। কিন্তু ফিলস লাইক বা অনুভূত হচ্ছে ৫০ ডিগ্রির মতো। আবহবিদ রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা বলছেন,'বিবিধ কারণে বেড়ে গিয়েছে গড় উষ্ণতা। রাজ্যে ঢুকছে উত্তর পশ্চিম ভারতের গরম লু'।

Advertisement
কলকাতার হিট আইল্যান্ড কলকাতার হিট আইল্যান্ড
হাইলাইটস
  • কলকাতায় এখন ৪০ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা।
  • কিন্তু ফিলস লাইক বা অনুভূত হচ্ছে ৫০ ডিগ্রির মতো।

দক্ষিণবঙ্গে চলছে তাপপ্রবাহ। ৪০ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা। গরমে হাঁসফাঁস দশা শহরবাসীর। আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে, গত ৫০ বছরে এপ্রিলে গরমের এত তীব্রতা বিরল! আগে বিকেলে স্বস্তি দিল কালবৈশাখীর ঝড়বৃষ্টি। এখন তাও অমিল। হঠাৎ এমন আবহাওয়ার বদল কেন? এই গরম থেকে মুক্তির উপায়ই বা কী?    

কলকাতায় এখন ৪০ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা। কিন্তু ফিলস লাইক বা অনুভূত হচ্ছে ৫০ ডিগ্রির মতো। আবহবিদ রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা বলছেন,'বিবিধ কারণে বেড়ে গিয়েছে গড় উষ্ণতা। রাজ্যে ঢুকছে উত্তর পশ্চিম ভারতের গরম লু। তার ফলে তাপপ্রবাহ সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে দূষণ। করোনার পর থেকে কলকাতায় বেড়ে গিয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা। তার উপরে গাছপালা নেই। বাতাসে বেড়ে গিয়েছে কার্বন ও ধুলিকণা। বড় বড় বহুতলের কংক্রিটের দেওয়াল তাপ অনেকক্ষণ ধরে রাখছে। সে কারণে সূর্যাস্তের পরও গরম কমছে না। কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে হিট আইল্যান্ড। 

হিট আইল্যান্ড কী? 

আরও পড়ুন

রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা জানালেন, একটা সময় বিকেলের দিকে কালবৈশাখী দেখা দিত। এখন ঝড়বৃষ্টি নেই। এর জন্য মূলত দায়ী এই হিট আইল্যান্ড। এই হিট আইল্যান্ড কলকাতা ও শহরাঞ্চলের বায়ুমণ্ডলে একটা আস্তরণ তৈরি করেছে। যার ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে যে জলীয়বাষ্প ভরা বাতাস আসত, তা আর আসছে না। দূষণ ও কার্বন বৃদ্ধির কারণেই এই হিট আইল্যান্ড তৈরি হয়েছে।

কিন্তু, তাপ বাড়ার সঙ্গে এর কি যোগ? রবীন্দ্র গোয়েঙ্কার কথায়,'গাছপালা থাকলে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফিলস লাইক ২-৩ ডিগ্রি বেশি হত। কিন্তু এখন তা ৫০ ডিগ্রির বেশি অনুভূত হচ্ছে। এই ফারাক তৈরি করে দিয়েছে হিট আইল্যান্ড। 

হিট আইল্যান্ড থেকে মুক্তির উপায় কী? 

Advertisement

নেট মাধ্যমে ঘুরছে গাছ লাগানোর ছবি। সেই দাওয়াই দিলেন আবহবিদ রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা। তিনি বলেন,'ছোট ফুলের গাছ লাগিয়ে কাজ হবে না। বাতাসে দূষণ কমাতে গেলে বড় বড় গাছ রাস্তার দুধারে লাগাতে হবে। তবেই এই দূষণ বুদবুদ বা পলিউশন বাবল থেকে মুক্তি মিলবে। গণপরিবহণ ব্যবহার করতে হবে। কমাতে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের প্রবণতাও'। তিনি মনে করিয়ে দেন, করোনার সময় রাস্তায় গাড়ি ছিল না। কমেছিল দূষণ। সেই সময় বিকেলে ঝড়বৃষ্টি নিয়মিত হয়েছে। 

কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় কবে রেহাই? 

এপ্রিলে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিই থাকার কথা। এখনই ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস অন্তত কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় নেই। মে মাসের শুরুর দিতে বৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা।   

Advertisement