দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের জায়গা পরিবর্তন নিয়ে চাপান-উতোর চলছে। মেট্রো সূত্রে খবর, দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের জায়গা পরিবর্তন করতে বলা হয়েছিল রাজ্যকে। যা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে তার জবাব দিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছে, বিষয়টি নতুন কিছু নয়, বহুদিন ধরেই আলোচনা চলছে।
মেট্রো রেল সূত্রে খবর, গত বছরের ২০ নভেম্বর, এই মর্মে চিঠি দেওয়া হয় পূর্ত দফতরে। সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, মেট্রো সম্প্রসারণের জন্য দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক ও আলিপুর বডিগার্ড লাইনসের জায়গা পরিবর্তন করা হবে না।
জোকা-ধর্মতলা মেট্রোর কাজ করছে RVNL। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, মেট্রো সম্প্রসারণের জন্য ২০২০ সাল থেকে কলকাতা আর্মড পুলিশকে ৩ দফায় চিঠি লেখা হয়। ২০২২ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি, এ নিয়ে বৈঠক হয় সব পক্ষের সঙ্গে। বডিগার্ড লাইনে ২টো নতুন বিল্ডিং বানিয়ে দেওয়া হবে কথা হয়েছে। এর পাশাপাশি, ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩ দফায় কলকাতা পুরসভাকে ৬০ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকাও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক উদ্বোধন হয়। যাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কর্মসংস্থানও। এই স্কাইওয়াক ভাঙা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি সপ্তাহেই নবান্ন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মেট্রো সম্প্রসারণের জন্য দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক ও আলিপুর বডিগার্ড লাইনসের জায়গা পরিবর্তন করা হবে না। পরিবর্তে, রেলকে তার নিজের জমিতে সম্প্রসারণের প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'আমার রক্ত থাকতে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না। আলিপুর বডিগার্ড লাইন্স হেরিটেজ এলাকা, ভাঙতে দেব না। মেট্রোর কাজের জন্য আলিপুর বডিগার্ড লাইন্স ভাঙতে বলা হচ্ছে। দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকে হাত দিলে বিবেকানন্দ, রাসমণিকে মনে করতে হবে। ম্যাপ নিয়ে বসলে হবে না, এলাকা পরিদর্শনের পর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রুট বদলাতে হলে অনেক জায়গা আছে, আমাকে বলুন, আমি দেব। সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, কিন্তু হেরিটেজ ধ্বংস করতে দেব না।'