মেট্রোর পরিধি বাড়ছে, কিন্তু কর্মী কম। এমনটাই অভিযোগ উঠছে বহুদিন ধরে। বর্তমানে শহরের উত্তর-দক্ষিণ, ইস্ট-ওয়েস্ট, জোকা-মাঝেরহাট এবং নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোপথে পরিষেবা চালু রয়েছে। এর পাশাপাশি আগামী বছরে কয়েকটি নতুন রুট যেমন নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর, নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সম্প্রসারণ কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে পরিকল্পনা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই চালকের চাহিদা বাড়বে।
চালক সঙ্কট ও প্রশিক্ষণের উদ্যোগ
সূত্রের খবর, মেট্রো কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ-পূর্ব রেল থেকে ২৫ জন চালককে নিয়ে এসে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। পাশাপাশি ইয়ার্ডের ট্রেন শান্টিং কর্মীদের চালক হিসাবে গড়ে তোলারও প্রয়াস চলছে। তবে এই উদ্যোগ চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। বর্তমানে কলকাতা মেট্রোতে ১০০ জন চালকের অভাব রয়েছে, যা আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে।
অপারেটর নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক
সূত্রের খবর, মেট্রো কর্তৃপক্ষ চালক নিয়োগের পরিবর্তে ট্রেন অপারেটর কাম স্টেশন কন্ট্রোলার নিয়োগের পরিকল্পনা করছে। তাদের যুক্তি, রেডিও তরঙ্গ নির্ভর সিগন্যালিং প্রযুক্তি চালুর ফলে চালকের ভূমিকা কমে যাবে। তবে কর্মী সংগঠনগুলি এর তীব্র বিরোধিতা করেছে।
বাম ঘনিষ্ঠ মেট্রো রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়ন সরাসরি চালক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে। শাসকদল ঘনিষ্ঠ প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নও এই নীতি মানতে নারাজ। তাঁদের মতে, রেল নিয়োগ বিধি লঙ্ঘন করে অপারেটর নিয়োগ করলে যাত্রী সুরক্ষা বিঘ্নিত হবে।
রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের অতিরিক্ত কাজের অভিযোগ
কর্মী সংগঠনগুলির আরও অভিযোগ, লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যুক্ত কর্মীদের টানা তিন বছর ধরে রাতে কাজ করানো হচ্ছে, যা রেল বোর্ডের নীতির লঙ্ঘন। বিধি অনুযায়ী টানা দু’বছরের বেশি রাতে কাজ করানো উচিত নয়।
মেট্রো পরিষেবার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
জানা গেছে, চালক সঙ্কট এবং নতুন নিয়োগ নীতির কারণে মেট্রো পরিষেবার ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কর্মী সংগঠনগুলি দাবি তুলেছে, যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া গতি বাড়াতে হবে। তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ে নীতি স্পষ্ট না হওয়ায় বিতর্ক বাড়ছে।