বিমানবন্দর-বারাসাত মেট্রো করিডোরের ৩.৫ কিলোমিটার প্রসারিত নির্মাণের কাজ কয়েক মাস ধরে আটকে আছে। কারণ একটি ক্রেনের কাজ নিয়ে দুটি কেন্দ্রীয় সংস্থার মধ্যে কোন্দল শুরু হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিউ ব্যারাকপুর পর্যন্ত করিডোর নির্মাণের জন্য ক্রেন ব্যবহারে আপত্তি তুলেছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই ক্রেনটির জন্য ফ্লাইট ওঠা-নামায় সমস্যা হতে পারে।
বিমানবন্দরের আধিকারিকরা বলেছেন যে, ক্রেনটি ব্যবহার করার জন্য সম্মতির জন্য মেট্রো রেলওয়ের আবেদন এবং মাটি থেকে ৩০ মিটার বাহুর উচ্চতা দিল্লির এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (এএআই) কাছে মুলতুবি রয়েছে।
আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এরকম উচ্চতার জন্য নিরাপত্তা ছাড়পত্র দেওয়া প্রযুক্তিগতভাবে অসম্ভব। সুতরাং, সম্ভবত একমাত্র বিকল্প হল ক্রেনটি যখন কাজ করবে সেই সময়ের জন্য ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ রাখা। যশোর রোডের অদূরে বিমানবন্দর থেকে নিউ ব্যারাকপুর পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ ট্র্যাকের ডায়াফ্রাম প্রাচীর নির্মাণে ক্রেন ব্যবহার করা হবে। নির্মাণটি বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন হবে, একজন মেট্রো কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ক্রেনটি প্রি-ফেব্রিকেটেড লোহার খাঁচা তুলে নেবে, সেগুলিকে মাটি থেকে ৩০ মিটার উচ্চতায় উঠাবে এবং তারপর নীচে খনন করা গর্তে নামিয়ে দেবে৷ মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, প্রসারিত নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে ক্রেন ব্যবহার নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আপত্তির পর। দু'জন পাইলট অবতরণের সময় ক্রেনের উচ্চতা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। এর পরে আমরা মেট্রো কর্তৃপক্ষকে ক্রেন ব্যবহার বন্ধ বলা হয়েছে। ক্রেনটি ৩০ মিটার ওপরে উঠলেই বিমানবন্দরের যোগাযোগ, নেভিগেশন ও নজরদারিতে সমস্যা হতে পারে।
কিন্তু মেট্রোর দাবি, কিছুক্ষণের জন্য হলেও ওই ক্রেন ব্যবহারের অনুমতি দিতে হবে। না হলে কাজ সম্ভব নয়। অচলাবস্থার কারণে ৩.৫৪ কিলোমিটার প্রসারিত কাজ কয়েক মাস ধরে আটকে রয়েছে। নিউ ব্যারাকপুর পর্যন্ত প্রসারিত এলাকা বিমানবন্দর-বারাসত মেট্রো লাইনের অংশ যা বহু বছর ধরে বিলম্বিত হয়েছে। বিমানবন্দর-বারাসত প্রকল্পটি ২০১১ সালের জানুয়ারিতে চালু করা হয়েছিল কিন্তু চালু হয়নি। ২০১৩ সালে একটি ঠিকাদার সংস্থা কাজ বন্ধ কর দেয়।