Kolkata Metro Railway Expansion: কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) ইতিহাসে ইতিহাস গড়তে চলেছে ২০২২-২৩ এর মেট্রো প্রকল্প। ৫টি স্টেশন পেতে চলেছে নিউ গড়িয়া-হেমন্ত মুখোপাধ্যায় রুট। চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে রুবি-নিউ গড়িয়া মেট্রো পরিষেবা।
রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের (CRS) অনুমোদন মঙ্গলবার গৃহীত হয়েছে। CRS-এর সমস্ত পর্যবেক্ষণকে সম্বোধন করে, মেট্রো রেলওয়ে এই লাইনের উদ্বোধনের জন্য রেল মন্ত্রকের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে৷ কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কৌশিক মিত্র একথা জানান।
নিউ গড়িয়া-হেমন্ত মুখোপাধ্যায় অরেঞ্জ লাইনের প্রসারিত ৫.৪-কিমি দৈর্ঘ্যের অংশে ৫টি স্টেশন খোলার জন্য কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (CRS)-র অনুমোদন আজ গৃহীত হয়েছে। এর আগে ৩০ ডিসেম্বর ২০২২-এ জোকা থেকে তারাতলা সেকশন পর্যন্ত ৬.৫-কিমি প্রসারিত হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।
২০২২-এর জুলাই মাসে, শিয়ালদা থেকে ফুলবাগান রুটটি চালু করা হয়েছিল। ২০২২-২৩ সালে মোট ১৪.২৩ কিলোমিটার মেট্রো নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। ১৯৭২ সালে মেট্রো নির্মাণ শুরু হওয়ার পর থেকে এক বছরে মেট্রো নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ঐতিহাসিক ঘটনা। কারণ, এক বছরে ৩৬ শতাংশ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা হচ্ছে, বলে জানানো হয় মেট্রো রেলের তরফে।
যে ৫টি নতুন রুট চালু হবে
হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে বিমানবন্দর
রাজারহাট মেট্রো প্রকল্প (অরেঞ্জ লাইন) হয়ে নিউ গড়িয়ার হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন ও নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো পথ ইতিমধ্যেই রেলওয়ে সেফটি কমিশনার পরীক্ষা করেছেন। মেট্রো রেলের আশা, চলতি বছরেই চালু করা হবে ওই নতুন প্রসারিত মেট্রো রুট।
সল্টলেক সেক্টর ৫ থেকে সেক্টর ২
চলতি বছরের অক্টোবরে সল্টলেক সেক্টর ২ থেকে সেক্টর ৫ পর্যন্ত (৯.৮২-কিমি দৈর্ঘ্য) পর্যন্ত যাচ্ছে। ফলে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরতরা খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারবে। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার যাত্রীরা সবথেকে বেশি উপকৃত হবেন।
নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর-বারাসত
অক্টোবরেই আবার নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর-বারাসাত মেট্রো প্রকল্পের (হলুদ লাইন) প্রসারিত হয়ে (৭.০৪ কিলোমিটার) হবে।
জোকা থেকে মাঝেরহাট
জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত (বেগুনি লাইন) বাণিজ্যিক পরিষেবা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। অক্টোবরের মধ্যে এই পরিষেবাটি তারাতলা থেকে মাঝেরহাট (১.২৪-কিমি) পর্যন্ত বাড়ানো হবে।
শিয়ালদা থেকে হাওড়া ময়দান
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শিয়ালদা থেকে হাওড়া ময়দান (৭.২৫ কিমি) পর্যন্ত বহু প্রতীক্ষিত মেট্রো পরিষেবা বাড়ানোর লক্ষ্যও ঠিক করা হয়েছে। যা চালু হলেই দেশে প্রথম নদীর নীচ দিয়ে মেট্রো চলবে। শহরতলি থেকে আসা যাত্রীরা এসপ্ল্যানেড, শিয়ালদা বা সল্টলেকের মতো জায়গায় দ্রুত এবং মসৃণভাবে পৌঁছতে পারবেন।