থমকে রয়েছে রাজ্যের পাঁচ-পাঁচটি মেট্রো প্রকল্প। কেন? রীতিমতো তালিকা দিয়ে কারণ জানাল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যার মোদ্দা কথা, রাজ্য সরকারের অসহযোগিতাতেই আটকে গিয়েছে মেট্রো প্রকল্পগুলি। কোথাও রাজ্য ট্রাফিক সরানোর অনুমতি দেয়নি, কোথাও আবার জমি জট!
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডোর নির্মাণের কাজ। এমন শম্বুকগতিতে কাজ চলছে যে অনেকেই সন্দিহান, আদৌ জীবদ্দশায় এর সম্পূর্ণ প্রকল্প দেখে যেতে পারবেন কিনা! এর আগে ২০১৪ সালে দত্তাবাদে বস্তি নিয়ে তৈরি হয়েছিল জট। সেই জট কেটেছে। এবার সল্টলেক সেক্টর V থেকে তেঘরিয়া পর্যন্ত মেট্রো বিস্তারের কাজ থমকে গিয়েছে। কারণ,ভারতীয় রেলের সঙ্গে ৫০:৫০ ব্যয়ভার বহনের মডেলে সায় দেয়নি রাজ্য সরকার।
নিউ গড়িয়া থেকে দমদম দমদম লাইনেও বিলম্ব। ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লাইনের ৯.৮ কিলোমিটারের কাজ শেষ। বাকি ২২.২ কিলোমিটারে থমকে প্রকল্প। স্লথ গতিতে কাজ হওয়ার কারণ? মেট্রোর যুক্তি, ট্রাফিক অন্যত্র সরানোর অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার।
জোকা থেকে বিবাদীবাগ পর্যন্ত প্রকল্পের হালও তথৈবচ। ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে ৭.৭৪ কিলোমিটার পর্যন্ত লাইন পাতা শেষ। বাকি ৬.২৬ কিলোমিটারে কাজ বাকি। জমি অধিগ্রহণ ও রাজ্য সরকারের পর্যাপ্ত অনুমতির অভাবেই পূর্ণগতিতে কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
নোয়াপাড়া থেকে বারাসাতগামী মেট্রো লাইন ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই প্রকল্পে কাজ চলতে তো চলছেই। সবে ২.৮৪ কিলোমিটার লাইন পাতা হয়েছে। এখনও বাকি ১৫.১৬ কিলোমিটার বাকি। মেট্রোর দাবি,মাইকেল নগর থেকে বারাসাত পর্যন্ত ৮.১২ কিলোমিটার জমির দখলদার উচ্ছেদ এবং অধিগ্রহণে রাজ্য সরকরের তরফে কোনও সাহায্য মিলছে না।
বরানগর থেকে বারাকপুর লাইন ১২.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এক বিন্দুও কাজ এগোয়নি। কলকাতা পুরসভার জলের পাইপলাইন অন্যত্র সরাতে পারেনি।
৫টি মেট্রো প্রকল্প থমকে থাকার কারণ হিসেবে কার্যত রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার আগে পর্যন্ত রাজ্যের তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।