বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে কলকাতায় ঝেঁপে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪২.৭ মিলিমিটার। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতায় রাত পর্যন্ত এই বৃষ্টি পরিস্থিতি চলবে। ওই বৃষ্টির কারণে কলকাতায় বহু নিচু জায়গায় জল জমেছে। যেকারণে যান চলাচলের গতি শ্লথ হয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, থিয়েটার রোড, এজেসি ফ্লাইওভার, এজেসি বোস রোড, বর্ধমান রোডে। যদিও কলকাতা পুরসভার তরফে জমা জল সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও অনেক রাস্তায় রয়েছে জলের তলায়। যার জেরে ওই সব এলাকা দিয়ে গাড়ি চলাচলের গতি হয়েছে রুদ্ধ।
এছাড়াও সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, মহাত্মা গান্ধী রোড ও কলেজ স্ট্রিটের বিভিন্ন জায়গায় সামান্য জল জমেছে। আমহার্স্ট স্ট্রিট এবং বিধান সরণিতেও কিছুক্ষণের জন্য জল দাঁড়িয়েছে। ঠনঠনিয়া কালিবাড়ি এলাকাতেও জল। প্রবল বৃষ্টিতে জল জমেছে দমদম এবং উল্টোডাঙ্গা আন্ডারপাসেও। দক্ষিণ কলকাতারও কিছু এলাকাতেও জল জমেছে। গোলপার্ক, গড়িয়াহাট এবং কসবায় হালকা জল জমেছে। বেহালার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল রয়েছে বলে এলাকা সূত্রে খবর।
শনিবার দুপুর থেকেই কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে বিদ্যুতের ঝলকানি। বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা সাময়িক কিছুটা কমলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। গত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে।
এদিন বেলা গড়াতেই আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামে কলকাতা-সহ একাধিক জেলায়। ক্ষণিকের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে শহরের কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ টানা ঘণ্টা দেড়েক বৃষ্টিতে জলের তলায় একাধিক অংশ। কোথাও জল গোড়ালির ওপরে, কোথাও আবার তার থেকেও বেশি। তবে এবছর বর্ষায় এখনও জল বেশিক্ষণ দাঁড়ায়নি। যেকারণে মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কম। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, নিয়মিত নর্দমা ও নালা সাফাইয়ের কারণেই জল জমলেও দ্রুত নেমে যাচ্ছে।