কলকাতায় শুধু ৪টি রুটেই চলুক ট্রাম, চায় পুরসভা। রাজ্যের পরিবহণ দফতরকে একথা জানানো হয়েছে। পরিবহণ দফতর কলকাতা পুরসভার মতামত জানতে চেয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই ওই কথা জানিয়েছে পুরসভা। একথা জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
মেয়র জানিয়েছেন, ট্রামপ্রেমীরা কলকাতার অনেক রুটেই ট্রাম চালানোর দাবি করছিলেন। কিন্তু কলকাতায় ৪টির বেশি রুটে ট্রাম চালানো সম্ভব নয়। মেয়র ফিরহাদ জানিয়েছেন, ট্রাম চালানো সম্ভব শুধুমাত্র চওড়া রাস্তায়। রবীন্দ্র সরণির (চিৎপুর রোড) মত সরু রাস্তায় নয়।
৭ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্ট একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেচে। যা কলকাতার ট্রাম সংরক্ষণের কাজ করবে। কমিটিতে রাজ্য পরিবহন দফতরের আধিকারিকরাও রয়েছেন। কলকাতার ট্রাম প্রেমীদের সংগঠন, রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের সদস্যরাও রয়েছেন এই কমিটি। পুরসভার শহর পরিকল্পনা বিভাগের একজন প্রাক্তন মহাপরিচালকও এই কমিটির অংশ।
পুরসভার মত, ট্রাম পরিবেশবান্ধব হলেও কলকাতার ট্রাফিকের গতি শ্লথ করে দেয়। ফলে দূষণ আরও বেড়ে যায়। ফিরহাদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “এমন অনেক রাস্তা রয়েছে যেখানে বহু বছর ধরে ট্রাম চলছে না। ট্র্যাক এখনও আছে এবং এটি দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। আদালতে মামলা চলছে এবং কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে।”
হাইকোর্ট আগের শুনানিতে রাজ্য সরকারকে বলেছিল যে কোনও অবশিষ্ট ট্রাম ট্র্যাকে বিটুমিন ঢালা বন্ধ করতে। ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “আমরা পরিবহণ দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা ট্রাম সম্পর্কে আমাদের মতামত জানতে চেয়েছিল। আমরা পরিবহণ বিভাগকে বলেছি যে, চারটি রুটে ট্রাম চালানো উচিত। আমাদের পরামর্শ গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা বিভাগের উপর নির্ভর করে।”
উল্লেখ্য, কলকাতায় এখন ৭টি ট্রাম ডিপো রয়েছে। একটি ওয়ার্কশপ ও বহু রাস্তার ট্রাম লাইন রয়েছে। ২০২৭ সালেও কলকাতায় ২০টিরও বেশি রুটে ট্রাম চলছিল। ট্রামের পক্ষে থাকা নাগরিকদের দাবি, ট্রাম বহু মানুষ বহন করতে পারে। ট্রাম গণপরিবহনের একটি ভাল মাধ্যম। এবং যানজট কমায়। এখন কলকাতায় মাত্র ৩ রুটে ট্রাম চলছে। যেগুলি হল- ২৪/২৯ (বালিগঞ্জ-টালিগঞ্জ), ৫ (শ্যামবাজার-এসপ্ল্যানেড) এবং ২৫ (গড়িয়াহাট-এসপ্ল্যানেড)।
ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতায় আরও একটি রুটে ট্রাম চালানো যেতে পারে, সেটি হল এসপ্ল্যানেড এবং খিদিরপুরের মধ্যে।