আরজি কর হাসপাতালের ধর্ষণ-খুন মামলা নিয়ে দেশজুড়ে ক্ষোভের পরিবেশ। সিবিআই এই মামলার তদন্ত করছে এবং ক্রমাগত নতুন নতুন তথ্য উদঘাটন হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে চলা তদন্তের মধ্যে, 'আজ তক' পানিহাটি এলাকায় শ্মশানের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছে। মৃতা চিকিৎসক-ছাত্রীর শেষকৃত্য হয় পানিহাটি এলাকার শ্মশানে। ওই দিন শ্মশানে উপস্থিত এক কর্মী ভোলানাথ জানান, যেদিন দাহ করা হয়, সেদিন শ্মশানে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং স্থানীয় নেতাদের ভিড় ছিল।
ভোলানাথ বলেন, "আমাদের এলাকার একটি মেয়ের মৃত্যুর খবর সকাল থেকেই চলছিল। রাত ১২টার পর লাশ শ্মশানে আনা হয়। ৬টার মধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সন্ধেয় মৃতদেহ পচে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তিনি বলেছিলেন যে, তখন শ্মশানে আরও দুটি মৃতদেহ ছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের অপেক্ষা করতে বলে। তখনও নির্যাতিতার দেহ শ্মশানে আনা হয়নি। পথে রয়েছে।
ভোলানাথ আরও বলেন, "পুলিশ আমাদের আগেই জানিয়েছিল যে একটি মেয়ের লাশ আসছে এবং তার সঙ্গে বিশাল জনসমাগমও আসবে। এলাকাটি খুব জনাকীর্ণ ছিল, ১০টিরও বেশি পুলিশের গাড়ি ছিল। লোকজনের আসা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এবং যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই পুলিশ দ্রুত শেষকৃত্য করার নির্দেশ দেয়।"
তিনি জানান, ওই তরুণীর দেহ শেষকৃত্যের সময় এলাকার বিধায়ক ও কাউন্সিলরও উপস্থিত ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ভাই রেজিস্টারে একটি এন্ট্রি করেছিলেন, কিন্তু তাঁর মা শেষকৃত্যের সময় শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন। এবং কোনও বিশেষ ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ করেননি, তাই প্রক্রিয়াটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল।
ভোলানাথ বলেন, "পুলিশ প্রতিটি ঘটনায় তথ্য দেয় না, তবে ভিআইপি লোকজন বা বিশেষ কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিশ আগে থেকেই তথ্য দেয়। এবার পুলিশ আমাদের আগে থেকে প্রস্তুত থাকতে বলেছিল। বিপুল জনসমাগম এবং পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতির মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিহতের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছিল। যাতে এলাকায় যানজট এবং ভিড় নিয়ে সমস্যা না হয়।