scorecardresearch
 

RG Kar Rape And Murder : নির্যাতিতার এরকম প্রতীকী মূর্তি বসানো উচিত হয়নি, দাবি নেটিজেনদের একাংশের; ব্যাখ্যা দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা

আরজি কর কাণ্ডে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে প্রতীকী মূর্তি বসানো হয়েছে হাসপাতালে। তা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। নির্যাতিতার এমন মূর্তি কেন বসানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

Advertisement
rg kar doctor murder case rg kar doctor murder case
হাইলাইটস
  • চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে প্রতীকী মূর্তি বসানো হয়েছে হাসপাতালে
  • তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক

আরজি কর কাণ্ডে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে প্রতীকী মূর্তি বসানো হয়েছে হাসপাতালে। তা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। নির্যাতিতার এমন মূর্তি কেন বসানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। মূর্তিটির আদল এরকম করা উচিত হয়নি বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ। তবে মূর্তির আদল নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানকে সমর্থন করেছেন অনেকেই। 

শিল্পী অসিত সাইনের মতে 'ক্রাই অফ দ্য আওয়ার' নামের এই মূর্তিটি নির্যাতিতার জীবনের শেষ মুহূর্তের যন্ত্রণা এবং ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরেছে। একটি পেডেস্টালের উপর স্থাপিত আবক্ষ মূর্তিটিতে দেখা যাচ্ছে, একজন মহিলা কাঁদছেন। মূর্তিটি আরজি করের অধ্যক্ষের অফিসের ভবনের কাছে বসানো হয়েছে। 

একজন জুনিয়র ডাক্তার জানান, এই মূর্তিটি নির্যাতিতার নয়। তবে তিনি যে অত্যাচার সহ্য করেছেন সেটাকে তুলে ধরতেই এমন মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন

যদিও এমন ধরনের মূর্তি বসানোর সরাসরি বিরোধিতা করেছেন অনেক নেটিজেন। তাঁদের মতে, এই ধরনের মূর্তি বসানো অসম্মানজনক।

একজন ইউজার লিখেছেন, 'যদি প্রতিবাদ করতে চান তাহলে করুন। মূর্তি বসিয়েই করুন। তবে এই মূর্তিটি বদলান। এটা খুব আপত্তিজনক একটা মূর্তি।' 

আর একজন লেখেন, 'এত অসংবেদনশীল কেউ কীভাবে হতে পারে। একজনের যন্ত্রণাকে তুলে ধরতে এমন মূর্তির ব্যবহার কেন করা হল। আশা করি, এই মূর্তি মুছে যাবে।' 

অনেকে আবার এও বলছেন, ডাক্তাররা কি এতটাই অসংবেদনশীল হয়ে গেল যে, যন্ত্রণা প্রমাণ করতে এমন একটা মূর্তি বসানো হল? 

এই মূর্তির বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও। তাঁর মতে, এই মূর্তিটি বসানো সুপ্রিম কোর্টের স্পিরিটের পরিপন্থী। তিনি লেখেন, 'তিলোত্তমার নামে এই মূর্তিটি বসানো সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যের স্পিরিটের পরিপন্থী। কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি এটা করতে পারেন না। শিল্পের নামেও না। প্রতিবাদ, ন্যায়বিচারের দাবি থাকবেই। কিন্তু মেয়েটির যন্ত্রণার মুখ দিয়ে মূর্তি ঠিক নয়। নিগৃহীতার ছবি, মূর্তি, নামে দেশে গাইডলাইন আছে।' 

Advertisement

যদিও আরজি করের এক ডাক্তার দেবদূত বলেন, 'আমরা সুপ্রিম কোর্টের কোনও আদেশের বিরোধিতা করিনি। আমরা এই মূর্তি বসিয়ে সত্যি তুলে ধরেছি। নির্যাতিতা কতটা যন্ত্রণা পেয়েছিলেন তা বোঝানো হয়েছে মূর্তিতে। আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব।' 

Advertisement