আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ঘিরে তুলকালাম সল্টলেকে। মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে উল্টোডাঙার হাডকো মোড় থেকে সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। মিছিলের প্রথম সারিতে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যরা। মিছিলে ছিলেন বিজেপির সাংসদ-বিধায়করাও। আগে থেকেই বিশাল পুলিশবাহিনীও মোতায়েন ছিল স্বাস্থ্য ভবন যাওয়ার পথে। এছাড়াও স্বাস্থ্য ভবন ঘিরে রাখে কয়েকশো পুলিশ। মিছিল এগিয়ে যেতে থাকলে করুণাময়ীর আগে ইন্দিরা ভবনের সামনে ব্যারিকেড করে পুলিশ।
যদিও সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে চলেন বিজেপি কর্মীরা। তবে, শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। সুকান্ত, দিলীপরা এগিয়ে যান। শুভেন্দুকে আটক করাতে অনেক বিজেপি কর্মী পুলিশের ভ্যানের সামনে রাস্তায় বসে পড়ে প্রতিবাদ জানান। অনেকে পুলিশের বাসের ওপর উঠে প্রতিবাদ জানান। তবে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। এর পরে অর্জুনকে প্রিজন ভ্যানে তুলতে গেলে বাধা পায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। এরপর একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে থাকে বিজেপির মিছিল। স্বাস্থ্য ভবনের গেটের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। সেখানে মহিলা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তবে বিশাল পুলিশ বাহিনী থাকায় স্বাস্থ্য ভবনের ভিতরে ঢুকতে পারেননি বিজেপি কর্মীরা।
শেষে ম্যাটাডোরের উপরে উঠে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলেন, 'গোটা বাংলার মানুষ বলছে, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। আমরা চাঁদা তুলে ১০ লক্ষ টাকা দেব, আমাদের বোনকে ফিরিয়ে দিন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার লাগবে না, আমাদের মেয়েকে ফিরিয়ে দিন। লাঠি-গুলি খেলেও বিজেপি পিছিয়ে আসবে না। আমাদের বিরোধী দলনেতার ওপরে হামলা হয়েছে। আমাকে আমাদের কর্মীরা ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। আগামীকাল প্রতিটি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাবে বিরোধী দলনেতার ওপরে হামলার প্রতিবাদে। বিজেপির আন্দোলন থামবে না। আমাদের ধর্না চলবে। আগামীতে বিজেপি আরও বড় আন্দোলন করবে।'