লোকসভা ভোটের আগে কি তৃণমূলের পদ ছাড়তে চলেছেন কুণাল ঘোষ? তাঁর এক্স হ্যান্ডেলের বায়ো থেকে রাজনৈতিক পরিচয় মুছেছেন তিনি। তাঁর বায়োতে এখন লেখা রয়েছে সাংবাদিক ও সমাজকর্মী। তাই রাজনীতিতে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে হয়তো তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্রের পদ ছাড়তে পারেন কুণাল।
শুধু তাই নয়, এক্স হ্যান্ডেলে তিনি একটি পোস্টও করেছেন। যাতে নাম না করে কোনও একজনকে নিশানা করেছেন। কুণাল লিখেছেন,'নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, তৃণমূল দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।' রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এবার উত্তর কলকাতার দলেরই এক সাংসদকে নিশানা করেই কুণাল এসব লিখেছেন।
গত কয়েক মাসে নানা ইস্যুতে কুণালের নানা মন্তব্যে তৃণমূলের অন্দরে বিতর্ক তৈরি হয়। নবীন-প্রবীন বিতর্কেও তিনি মুখ খোলেন। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে কুণাল বলেন, 'একটা সুদূর ভবিষ্যত আসবে, যখন মমতাদি আশীর্বাদ করবেন, আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেবেন।'
দলে প্রবীণরা পদ ছাড়ুন, নবীনদের জায়গা করে দিন। এর আগে কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের জেরে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। দলেরই একাংশের দাবি, এর মাধ্যমে কার্যত তৃণমূলে প্রবীণদের অবদান অস্বীকার করছেন কুণাল। এছাড়াও নন্দীগ্রামে মমতার হারের জন্যও প্রবীণ নেতাদের খারাপ 'পারফরম্যান্স'কেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, 'নন্দীগ্রামে যারা দায়িত্বে ছিল তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাতে পারেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের ঘরে ঘরে আছেন। সেখানকার মতো জায়গাতেও তাঁরা ঠিক করে পারফর্ম করতে পারলেন না।'