scorecardresearch
 

Tapas Roy: 'আজ থেকে আমি মোদী পরিবারের সদস্য', পদ্ম-পতাকা হাতে নিয়ে বললেন তাপস

'বাংলার বুকে অরাজক পরিস্থিতি। এটা উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা ও শেখ শাহজাহানদের সরকার'। বিজেপিতে যোগ দিয়েই রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করলেন তাপস রায়।

Advertisement
তাপস রায় তাপস রায়
হাইলাইটস
  • বিজেপিতে যোগ দিলেন তাপস রায়।
  • তাঁকে স্বাগত জানালেন শুভেন্দু-সুকান্তরা।

সোমবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বুধবার তৃণমূলকে বিঁধে তাপস রায় যোগ দিলেন বিজেপিতে। সল্টলেকে বিজেপির রাজ্য দফতরে তাঁর হাতে পদ্ম পতাকা তুলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে। 

তাপসকে স্বাগত জানাতে এ দিন বিজেপির রাজ্য দফতরে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে। দলে যোগ দিয়ে তাপস বলেন,'আজ থেকে আমি  বিজেপি ও মোদী পরিবারের সদস্য হলাম। যতদিন রাজনীতিতে আছি, ততদিন এই পরিবারের সদস্য হিসেবে যে দায়িত্ব ন্যস্ত হবে, তা পালন করব। আমি রাজ্যের এবং কেন্দ্রের নেতৃত্বের কাছে কৃতজ্ঞ যে তাঁরা আমাকে গ্রহণ করেছেন।'

সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে আগেই দলকে বিঁধেছিলেন। এ দিন আবারও সেই প্রসঙ্গ তুললেন তাপস। তাঁর কথায়,'বাংলার বুকে অরাজক পরিস্থিতি। এটা উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা ও শেখ শাহজাহানদের সরকার। সংবিধানের কথা বলে কিন্তু হাইকোর্টের করায় মানে না। পশ্চিমবঙ্গ থেকে অমানবিক জলদস্যুদের সরিয়ে শান্তির বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বিজেপিতে যোগ দিলাম'।

আরও পড়ুন

শোনা যাচ্ছে, উত্তর কলকাতায় এবার তৃণমূলের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তাপস রায়। তবে দলের তরফে সদর্থক সাড়া মেলেনি। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ওই আসনে প্রার্থী করতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা বুঝেই তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তাপস। বিজেপির টিকিটেই তিনি দাঁড়াতে চলেছেন উত্তর কলকাতায়। সোমবার বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেন। 

প্রথম দফায় উত্তর কলকাতায় প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। ওই কেন্দ্রে সজল ঘোষ এগিয়ে আছেন বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু সম্ভবত তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না। বরং তাপসকেই প্রার্থী করতে চলেছে বিজেপি। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি বা বিজেপির তরফে কোনও সংকেত মেলেনি। তণমূল ছাড়ার পর তাপস বলেছিলেন, তিনি দলে অবহেলিত। জানুয়ারিতে তাঁর বাড়িতে ইডি হানার পর দলের তরফে কেউ যোগাযোগ করেননি। শেখ শাহজাহানের কথা উল্লেখ করলেও তাঁর পাশে দাঁড়াননি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Advertisement

Advertisement