scorecardresearch
 

মল্লিকঘাট ফুলবাজারে বিক্রি কমে ৫ শতাংশে! মাথায় হাত চাষি-দোকানদারদের

ট্রেন-বাস না থাকার জন্য অনেক সমস্যা হচ্ছে মল্লিকঘাট (Mallickghat)-এর ফুলের দোকানি থেকে শুরু করে চাষীদের। পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগণা থেকে আসেন ফুলচাষীরা। বিক্রি না হলে ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকে না।

Advertisement
মল্লিকঘাটে ফুল নিয়ে এক দোকানি। ছবি: সৌজন্য ফেসবুক মল্লিকঘাটে ফুল নিয়ে এক দোকানি। ছবি: সৌজন্য ফেসবুক
হাইলাইটস
  • আংশিক লকডাউনে ঝিমিয়ে পড়েছে মল্লিকঘাট ফুলবাজার
  • বিক্রিবাটা নেমে এসেছে ৫-৬ শতাংশে
  • আতান্তরে পড়েছেন দোকানদার থেকে শুরু করে ফুলের চাষীরা

আংশিক লকডাউনে ঝিমিয়ে পড়েছে মল্লিকঘাট ফুলবাজার (Mallickghat Flower Market)। বিক্রিবাটা নেমে এসেছে ৫-৬ শতাংশে। আতান্তরে পড়েছেন দোকানদার থেকে শুরু করে ফুলের চাষীরা। ট্রেন বন্ধ থাকায় গাড়ি করে বেশি সময়ে লাগছে তাঁদের। তারপরও সমস্যার শেষ নেই।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে আংশিক লকডাউনের পথে চলছে রাজ্য। বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন, বাস, মেট্রো। দোকানবাজার খোলা রাখা নিয়েও বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে।

কোথা থেকে ফুল আসে

ট্রেন-বাস না থাকার জন্য অনেক সমস্যা হচ্ছে মল্লিকঘাট (Mallickghat)-এর ফুলের দোকানি থেকে শুরু করে চাষীদের। পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগণা থেকে আসেন ফুলচাষীরা। বিক্রি না হলে ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। ট্রেন নেই। ফলে গাড়ি করে আসতে হচ্ছে। সময় এবং খরচ- দুই বাড়ছে।

বুধবার মল্লিকঘাট (Mallickghat)-এর এক ফুল ব্যবসায়ী রামবাবু জানান, বিক্রিবাটা মোটেই ভাল নয়। ফুলচাষীরা ফুল নিয়ে আসছেন ঠিকই। তবে অনেককেই তা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। সেখানকার এক দোকানদার রঞ্জিতকুমার জানান, এখন বাজার খুবই খারাপ।

কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকা থেকে মল্লিকঘাট (Mallickghat)-এ কাজে আসেন শৈলেশ দাস নামে এক ব্যক্তি। তিনিও একই কথা জানালেন। আর এক দোকানদার জানাচ্ছেন, রাতের দিকে তা-ও সামান্য বিক্রি হচ্ছে। তবে দিনের বেলার কথা বলার নয়।

কত দোকান

মল্লিকঘাট মল্লিকঘাট (Mallickghat) ফুলবাজার দোকান রয়েছে ২৪২টি দোকান। হাজার খানেক দোকানদার বসে। তিন বেলা বাজার বসে সেখানে, সকাল, দুপুর এবং রাতে। এখন ৫-৬ শতাংশ ফুলচাষী আসছে।

বাজার পরিচালন সমিতি কী জানাচ্ছে

মল্লিকঘাট ফুলবাজার পরিচালন সমিতি ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন বর্মণ সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি জানান, সমস্যা সমাধানে সরকার নিশ্চয়ই কোনও সিদ্ধান্ত নেবে আশা করি। বিক্রেতাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছি। ক্রেতারা মাস্ক ছাড়া ঢুকতে পারবে না। অনেকে সাইকেলে করে আসছে। আগে মানুষ বাঁচবে তারপর তো ব্যবসা করবে।

Advertisement

তিনি জানান, আগে করোনা শহরে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন তো গ্রামেও হচ্ছে। আগে এমনও হয়েছে, শহর থেকে ফুল বেচে যাঁরা আগে গ্রামে যেতেন, তাঁদের ঢুকতে দিতে চাইতেন না গ্রামবাসী। আগের লকডাউনে থার্মাল চেকিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলাম।

এদিকে, পুরো লকডাউনের পথে হাঁটতে চায় না রাজ্য সরকার। দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই কথা জানিয়েছিলেন। এখন যেমন বিধিনিষেধ রয়েছে, তেমনই বজায় রাখতে চায় রাজ্য। যাতে মানুষের সমস্যা কমে। নবান্নে তিনি এমনই জানান।

তিনি জানিয়েছিলেন, আমরা অনেক বিধিনিষেধ করেছি। লকডাউন না করে লকঢাউনের মতো, আচরণ, করি, হকারদের সময়। একদম লকডাউন করলে লোকে খেতে পাবে না। তাই আমরা একটা টাইম বেঁধে দিয়েছি। আমাদের মাস্ক পরতে হবে। হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে। 

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, লোকে তো খাবে বাজার করে। স্বর্ণকাররা চেয়েছিল ১২টা থেকে ৩টে। সবাইকে নিখরচায় টিকা দেব। যখনই কেন্দ্র আমাদের দেব। মানুষ এখন বিপদে। হাজারটা কাজ করতে গেলে একটা ভুল হতে পারে। আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন না।

 

Advertisement