জুনিয়র ডাক্তারদের কোনওভাবেই কটাক্ষ করা যাবে না। দলের বিধায়ক, সাংসদ এবং তৃণমূলস্তরের কর্মীদের কাছে নির্দেশ এসে পৌঁছল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অফিস থেকে। স্পষ্ট বার্তা, জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে কটাক্ষ বা বিরূপ মন্তব্য করা যাবে না। সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় হোক বা সরাসরি।
প্রসঙ্গত, অনশন-আন্দোলন চলাকালীন জুনিয়র ডাক্তারদের কটাক্ষ করেছিলেন একাধিক তৃণমূল নেতা। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করেছিলেন বলে অভিযোগ। তালিকায় নাম ছিল, উদয়ন গুহ, নির্মল মাঝি, শওকত মোল্লার মতো নেতাদের। তবে গত সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে ২ ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর অনশন প্রত্যাহার করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপরই কার্যত হুইপ জারি করা হয়েছে তৃণমূল নেতাদের উপর। কেউ যাতে জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে কটূ মন্তব্য না করে সেদিকে নজরও রাখা হচ্ছে দলের তরফে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ, আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে কোনওরকমভাবেই খারাপ মন্তব্য করা চলবে না। সতর্ক থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার নবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ার সঙ্গে বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তারদের ১৭ জনের প্রতিনিধি দল। ডাক্তাররা তাঁদের দশ দফা দাবির কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান। রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একাধিক আমলা। ডাক্তারদের একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ডাক্তারদের দাবি আছে তবে একদিনে তা সব পূরণ করা সম্ভব নয়। ডাক্তারদের তরফে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নির্বাচনের দাবি জানানো হয়। উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মার্চ মাসে ভোট হবে। স্বাস্থ্য সচিবকে অভিযুক্ত বলা যাবে না বলে ডাক্তারদের জানান। বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার ‘থ্রেট কালচার’-এর প্রসঙ্গ ওঠে। বিরুপাক্ষ এবং অভীকের নাম নিতেই তাঁকে থামিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘উপস্থিত নেই যখন, নাম নেবেন না। নাম নিলে তো তাঁকেও তাঁর কথা বলার জায়গা দিতে হয়। ’
হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে, জাক্তাররা এই দাবি জানালে মুখ্যসচিব বলেন, 'হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক। এটা সবাই চান। সেই মোতাবেক কাজও হচ্ছে। সবার লক্ষ্য হল সুস্থ পরিবেশে কাজ করানো।' এই বৈঠকের পরই অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে আন্দোলন চলবে, জানান ডাক্তাররা।