যাদবপুরকাণ্ডে সরাসরি বামেদের দোষারোপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়ুয়ার মৃত্যুর পিছনে 'মার্কসবাদী'দের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুললেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বেহালায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই যাদবপুরকাণ্ডে বামদের কাঠগড়ায় দাঁড় করান।
সোমবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'যাদবপুরে যেভাবে, এই যে ছেলেটিকে, অনেক স্বপ্ন নিয়ে, তার মা-বাবা তার নামকরণ করেছিলেন। যাদবপুরের ছেলেটিকে অত্যাচার করতে করতে... আমি ওর বাবাকে ফোন করেছিলাম। ওর বাবা বললেন, দিদি জানেন ও খুব কাঁদত ও বলত অত্যাচার করেছে। আমি কালকেই যাব ঠিক করেছিলাম। বগুলা থেকে এত দূর। আমি বুঝতে পারিনি, আমার ছেলেকে অত্যাচার করে উপর থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই দিদি। আর কিছু না। আর তো আর ছেলেকে ফিরে পাব না।'
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কারা এরা? মার্কসবাদী। এখনও বড় বড় কথা। এখনও বিজেপির সঙ্গে ঘর করছে, কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর করছে। তৃণমূল এখনও ওদের এক নম্বর শত্রু। ওদের লজ্জা বোধ বলে কিছু নেই। আবেগ বিবেক বলে কিছু নেই।'
তিনি আরও বলেন, 'ছেলেটি একটি মাদুলি পরেছিল। বলছে খোল খোল এখানে এটা রেড ফোর্ট, মানে ওদের জমিদারি। ওখানে ওরা পুলিশ ঢুকতে দেয় না, সিসিটিভি বসাতে দেয় না। র্যাগিং করে ছেলেমেয়েদের উপর যা-তা। একটা আতঙ্কের মতো হয়ে গিয়েছে পুরো এখন যাদবপুরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমি দুঃখিত, আমি স্তম্ভিত, আমি মর্মাহত। আমি যার জন্য সব জায়গায় গেলেও, যাদবপুরে যেতে চাই না। তার কারণ, পড়াশোনায় ওরা ভাল হতে পারে। কিন্তু শুধু পড়াশোনায় ভাল হলেই মানুষ মানুষ হয় না, যদি তার বিবেক না থাকে, যদি সে মানবিক না হয়।'
এরপর তিনি বলেন, 'সবাই কি খারাপ? না। ছাত্রছাত্রীদের আমি দোষ দিই না। ওই কয়েকটা আধমার্কা সিপিএম আছে। তারা মনে করে নতুন ছেলেমেয়েরা গ্রাম বাংলা থেকে এসে ঢুকলেই তাদের উপর অত্যাচার করা তাদের অধিকার। জামাকাপড় খুলে নিচ্ছে। ও যখন নিচে পড়ে আছে, শুধু একটা গামছা পরানো। সেটাও হয় তো পরে কেউ একটা পরিয়ে দিয়েছে। এই তো অত্যাচারের নিশানা। আজও লজ্জা নেই।'