জল্পনা সত্যি হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল করা হল। বাবুল সুপ্রিয়র হাত থেকে নিয়ে নেওয়া হল পর্যটন দফতর। পর্যটন দফতর ফিরল পুরনো মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের কাছে। এর আগে তাঁকে পর্যটন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁকে ফের পর্যটন দফতরের দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্নের তরফে এই নিয়ে এখনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে খবর। যদিও বাবুল সুপ্রিয়র হাতে আইটি দফতর থাকবে। তাঁকে পর্যটন দফতর থেকে সরিয়ে অচিরাচরিত শক্তি উৎস দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও প্রদীপ মজুমদারের হাতে আরও দফতর যুক্ত করা হল। পঞ্চায়েতের সঙ্গে সমবায় দফতরের মন্ত্রী করা হল প্রদীপ মজুমদারকে। বন দফতরের সঙ্গে শিল্প পুনর্গঠন দফতরের দায়িত্বে আনা হল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে।
আবার অরূপ রায়ের হাতছাড়া হল সমবায় দফতর। জল্পনা শুরু হয়েছিল, তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হতে পারে। তা যদিও হয়নি। অরূপকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের দায়িত্বে আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন আগে বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে বচসা হয় ইন্দ্রনীল সেনের। বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করিডোরের সামনেই এই ঝামেলা হয়। সেদিন,বাবুল সুপ্রিয় ইন্দ্রনীল সেনকে বলেন, ‘তুমি কেন কাজ আটকে দিচ্ছ?’ তখন ইন্দ্রনীল বলেন, ‘যা বলার দিদিকে গিয়ে বল।’ ঠিক তারপর থেকেই জল্পনা শুরুব হয় বাবুলের হাত থেকে পর্যটন দফতর যেতে পারে। বাস্তবে হলও তাই।
যদিও আর একটি সূত্রের দাবি, বাবুল নিজেই পর্যটন দফতরে আর থাকতে চাইছেন না বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাতে অসম্মতি জানাননি।
উল্লেখ্য, বাবুল সুপ্রিয় রাজনীতিতে এসেছিলেন বিজেপির হয়ে। আসানসোল থেকে জিতে কেন্দ্রে প্রতিমন্ত্রীও হন। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভায় রদবদল করলে বাদ পড়েন বাবুল। তারপরই বিজেপি ত্যাগ করেন তিনি।