গতমাসে এসএসকেএম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রীর বাঁ হাঁটু থেকে তরল বের করার পর জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। "ফ্লুইড অ্যাসপিরেশন" করার পরে সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন তিনি। পদ্ধতিটি সিরিঞ্জের সাহায্যে শরীরের ভেতরে জমে থাকা তরল বের করার একটি পদ্ধতি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। মুখ্যমন্ত্রী গত বুধবার বলেছিলেন যে, ভুল চিকিৎসার কারণে তাঁর "সেপটিক" হয়ে গেছে।
সেপ্টেম্বরে স্পেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে ফিরে আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রধান সরকারী পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভুল চিকিত্সার কারণে আমার সেপটিক হয়ে গিয়েছিল। হাতে যেভাবে স্যালাইন চ্যানেল তৈরি হয়, সাত দিন ধরে সেই অবস্থাতেই ছিলাম। আমি উঠতে পারিনি।”
এসএসকেএম সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর হাঁটু থেকে তরল বের করার পর তাঁর সংক্রমণ আরও বেড়ে যায়। মোট লিউকোসাইটের সংখ্যা ৪,০০০ থেকে ১১,০০০ প্রতি ঘন মিমি স্বাভাবিক পরিসরের অনেক বেড়ে যায়। সেপসিস নিয়ন্ত্রণের জন্য তাঁকে শিরায় ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, এসএসকেএম-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চিকিৎসকরা এই তরল বের করেছিলেন।
মমতা ২৪ সেপ্টেম্বর শেষবার তাঁর বাম হাঁটুতে আঘাতের চিকিৎসার জন্য এসএসকেএমে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। সেপ্টেম্বরে স্পেন সফরে চোট পান মমতা। এর আগে শিলিগুড়ির কাছে জরুরী অবতরণের পরে একটি হেলিকপ্টার থেকে নামার সময় আঘাতের পরে বাঁ হাঁটুতে ব্যথা কমাতে তিনি এসএসকেএম-এ মাইক্রোসার্জারি করেছিলেন।
স্বাস্থ্যবিভাগ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের তদন্ত করবে কিনা জানতে চাইলে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি 'বাংলা ডট আজতক ডট ইন'কে বলেন, 'বিষয়টি শুনেছি। দেখছি কী করা যায়। তবে আপাতত এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।'