আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেই ডেডলাইন বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজরার এক অনুষ্ঠান থেকে জানান, রাজ্য পুলিশ ৯০ শতাংশ তদন্ত শেষ করে ফেলেছিল। এখন সিবিআই তদন্তভার হাতে নিয়েছে। দোষীকে ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেই।
এদিন হাজরার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'দোষীদের ফাঁসি চেয়ে সব ব্লকে ব্লকে মিছিল করবে তৃণমূল কংগ্রেস। রাম-বামদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে ব্লকে ব্লকে ধর্না হবে ১৮ তারিখে। ১৯ তারিখে রাখিবন্ধন হবে। স্বাধীনতা দিবস ১৫ তারিখ। সেদিন কোনও কর্মসূচি থাকবে না। মৌলালি থেকে আমি থাকব মিছিলে। সবাই আসুন। যারা এই ঘটনার প্রতিবাদ করছেন, তাঁরা রাজনীতির রংয়ে , রাজনীতির ছোবলে পা দেবেন না।'
তারপরই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সংযোজন, 'আগামী রবিবারের মধ্যে সিবিআইকে ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের কলকাতা পুলিশ যদিও ৯০ শতাংশ তদন্ত করে দিয়েছে। এই দাবিতে পথে নামতে হবে। মৌলালির মোড়ে আমি নিজে মিছিল করব। আপনারা সবাই আসুন।'
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি। ডাক্তাররা লাগাতার আন্দোলন করছেন। যার জেরে নাজেহাল রোগীরা। তাঁদের কাজে ফেরার বার্তা দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এই আন্দোলনে রাজনীতির রংও দেখতে পাচ্ছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বাম জমানার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন বেহালা থেকে।
সেই সভা থেকে তিনি বলেন, 'মনে পড়ে বানতলায় ড: অনিতা দেওয়ানের কথা? বামফ্রন্ট সরকার ছিল। ভুলে গেছেন? অনেকেই এখন জানেন না। আমার মনে আছে কারণ আমি সেখানে গিয়ে একটা গাছের চারা লাগিয়ে এসেছিলাম। যারা ফেসবুক টুইটারে সস্তার রাজনীতি করতে গিয়ে ভুলে গিয়েছেন, নিজেকে আয়নায় দেখুন। আমি ঘটনাটা জানি, ১৯ জন আনন্দ মার্গীকে কারা পুড়িয়ে মেরেছিল, কারা? সেই সিপিএম দল। নন্দীগ্রামে গুলি করে হত্যা, ১০ জনকে বাঁশে বেঁধে জলে ফেলা, সিঙ্গুরে তাপসী মালিককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।'