scorecardresearch
 

টার্গেট বাকি ৪ উপনির্বাচন, প্রার্থী ঘোষণা মমতার

ভবানীপুরে বড় ব্যবধানে জয় পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন গণনা শুরুর পর থেকেই প্রতিপক্ষদের থেকে এগিয়ে যেতে থাকেন তৃণমূল নেত্রী। সময় যত এগিয়েছে ততই বেড়েছে ব্যবধান। একইসঙ্গে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুধু মাত্র ভবানীপুর নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। 

Advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • আগামী ৩০ তারিখ ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন
  • ৩ কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করলেন মমতা
  • ভবানীপুর জয়ের জন্য মানুষকে জানালেন ধন্যবাদ

ভবানীপুর জয়ের দিনই পরবর্তী বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শান্তিপুরে ব্রজকিশোর গোস্বামী, দিনহাটায় উদয়ন গুহ এবং খড়দহে শোভনদহে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় লড়বেন। পরে তৃণমূলের তরফে গোসাবা কেন্দ্রে সুব্রত মণ্ডলের নাম ঘোষণা করা হয়। আগামী ৩০ অক্টোবর ওই ৪ কেন্দ্রে হতে চলেছে বিধানসভা উপনির্বাচন। ফলাফল ঘোষণা হবে ২ নভেম্বর। 

রাজনৈতিকমহলের প্রত্যাশা মতোই এদিন ভবানীপুরে বড় ব্যবধানে জয় পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন গণনা শুরুর পর থেকেই প্রতিপক্ষদের থেকে এগিয়ে যেতে থাকেন তৃণমূল নেত্রী। সময় যত এগিয়েছে ততই বেড়েছে ব্যবধান। একইসঙ্গে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুধু মাত্র ভবানীপুর নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মানুষকে ধন্যবাদ মমতার
এই জয়ের জন্য মানুষকে ধন্যবাদ দেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, এবারের উপনির্বাচনে ভবানীপুরে কোনও ওয়ার্ডে হারেনি তৃণমূল। একইসঙ্গে জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জেও দলীয় প্রার্থীরা জিতবেন বলে আত্মবিশ্বাস ঝরে পড়ে মমতার গলায়। তাই এদিন ভিক্ট্রি সাইনের পরিবর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এক দুই তিন, মানুষকে ধন্যবাদ দিন।' 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, উপনির্বাচনে ৫৮, ৮৩২ ভোটে জিতেছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই কেন্দ্র থেকেই উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন মমতা। সেবার উপনির্বাচনে ৭৩,৬৩৫টি ভোট পেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তারপর ২০১৬ সালেও ভবানীপুর থেকেই লড়াই করেন তিনি। ৬৫,৫২০টি ভোট পয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা। কিন্তু ২১ নির্বাচন তিনি লড়াই করেন নন্দীগ্রাম থেকে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন তিনি। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ায় ৬ মাসের মধ্যে বিধায়ক হওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। সেই মতো ভবানীপুরে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করলে উপনির্বাচনের লড়াইতে নামেন মমতা এবং জিতলেন রেকর্ড ভোটে।

Advertisement

 

Advertisement