scorecardresearch
 

"বাংলা মানে নতুন দিগন্ত", মাঝেরহাট সেতুর উদ্বোধনে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

অপেক্ষার অবসান। চালু হয়ে গেল মাঝেরহাট সেতু (Majerhat Bridge)। বৃহস্পতিবার সেতুর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নতুন ব্রিজের নাম দেওয়া হয়েছে জয় হিন্দ সেতু। সেতুর উদ্বোধনে এসে ঘটনার দিনের স্মৃতি রোমন্থন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "সেই ৪ সেপ্টেম্বরের কথা খুব মনে পড়ে। সেই দিন আমি দার্জিলিং ছিলাম। সেই দিন অনেক চেষ্টা করি,পরের দিনই সকালে এসেছিলাম। আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সকালে সবাই মিলে ছুটে আসেন। ৭২ ঘণ্টা ধরে সবাই ছিলেন।" ব্রিজ চালু হতে বিলম্বের কারণ হিসেবে মমতা বলেন, "রাজ্য পূর্ত দফতর ৭ দিনের মধ্যে ব্রিজ ভেঙে দিয়েছিল। রেলের আধিকারিক দোষ দেব না। দোষ দেব দিল্লিতে বসে যাঁরা কলকাঠি নারাচ্ছিলেন তাঁদের। এলাকাবাসীরা আমাদের অনেক সাহায্য করেছেন। আমাদের সরকার ক্ষমাপ্রার্থী সময় একটু বেশি লেগেছে।"

Advertisement
মাঝেরহাট ব্রিজের উদ্বোধন মাঝেরহাট ব্রিজের উদ্বোধন
হাইলাইটস
  • মাঝেরহাট ব্রিজের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
  • নয়া ব্রিজের নাম জয় হিন্দ সেতু
  • ব্রিজ তৈরিতে খরচ ৩১১.৭৬ কোটি টাকা

অপেক্ষার অবসান। চালু হয়ে গেল মাঝেরহাট সেতু (Majerhat Bridge)। বৃহস্পতিবার সেতুর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নতুন ব্রিজের নাম দেওয়া হয়েছে জয় হিন্দ সেতু। সেতুর উদ্বোধনে এসে ঘটনার দিনের স্মৃতি রোমন্থন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "সেই ৪ সেপ্টেম্বরের কথা খুব মনে পড়ে। সেই দিন আমি দার্জিলিং ছিলাম। সেই দিন অনেক চেষ্টা করি,পরের দিনই সকালে এসেছিলাম। আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সকালে সবাই মিলে ছুটে আসেন। ৭২ ঘণ্টা ধরে সবাই ছিলেন।" ব্রিজ চালু হতে বিলম্বের কারণ হিসেবে মমতা বলেন, "রাজ্য পূর্ত দফতর ৭ দিনের মধ্যে ব্রিজ ভেঙে দিয়েছিল। রেলের আধিকারিক দোষ দেব না। দোষ দেব দিল্লিতে বসে যাঁরা কলকাঠি নারাচ্ছিলেন তাঁদের। এলাকাবাসীরা আমাদের অনেক সাহায্য করেছেন। আমাদের সরকার ক্ষমাপ্রার্থী সময় একটু বেশি লেগেছে।"

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "বাংলা মানে একটা স্বপ্নের ভোর, একটা নতুন দিগন্ত।" তাঁর মতে, এই ব্রিজ আগের থেকে অনেক ভাল হয়েছে। এই ব্রিজ দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মতো করে দেওয়া হয়েছে। ৬৩৬ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৩১১.৭৬ কোটি টাকা। এর ফলে যান চলাচলের অনেক সুবিধা হবে বলেও মনে করেন তিনি। মমতা আরও বলেন, "বাংলায় প্রচুর ব্রিজ আছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে অডিট হয়নি। প্রত্যেকটা ব্রিজের আয়ু থাকে। সারা বাংলায় যত ব্রিজ আছে সেগুলির কথা ভেবে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটি অনেক সার্ভে করেছে।" অন্যদিকে এদিন নাম না করে কেন্দ্রকেও একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, "যাঁরা বড় বড় ভাষণ দিয়ে গেছেন তাঁরা ৩৬ কোটি টাকা নিয়েছেন। কেনো নিয়েছেন তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন। আর পোর্টট্রাস্ট তো ৭৭ লক্ষ টাকা নিয়েছে। ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই কিল মারার চেষ্টা।" 

Advertisement

এদিন নতুন ব্রিজ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,"ব্রিজ নোংরা হলে খুব খারাপ লাগে। বাংলাকে পরিষ্কার রাখুন। সমস্ত জায়গা পরিষ্কার রাখুন। সব নতুন করে দিয়েছি, রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের।" অন্যদিকে পুলিশকে নির্দেশ দেন, যাঁদের হেলমেট কেনার সামর্থ্য নেই তাঁদের থানা থেকে বিনামূল্যে হেলমেট দেওয়ার জন্য। এছাড়া গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউ এবং পার্ক সার্কাস, যাদবপুর থেকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড পর্যন্ত একটা ফ্লাইওভার হবে বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। 

 

 


 

Advertisement