বৃহস্পতিবার বিকেলে বোধন হয়ে গেল ৪৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার। মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের থিম ব্রিটেন। মেলার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী সে দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দেন। সেই সঙ্গে এও জানান, লন্ডনের প্রতিটি রাস্তা তাঁর চেনা।
বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল পার্কের বইমেলা প্রাঙ্গণে স্টেট ব্যাঙ্ক অডিটোরিয়ামে বইমেলার উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বইমেলা চলবে ১৮ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালেক্স ইলিস সিএমজি, ব্রিটিশ কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর অ্যালিসন ব্যারেট এমবিই, লেখক বাণী বসু ও লেখক-সাহিত্যিকরা। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'আপনারা যদি জিজ্ঞেস করেন, আমি কীভাবে লন্ডনকে চিনলাম? আমি লন্ডনের সব রাস্তা চিনি। লন্ডনে যতবার গিয়েছি, আমি কখনও গাড়ি ব্যবহার করিনি। খালি হেঁটেছি। হেঁটেই সব রাস্তা ঘুরেছি। ব্রিটেনের অন্যান্য় জায়গায় গিয়েছি।'
ব্রিটেন থেকে তাঁর কাছে আবারও আমন্ত্রণ এসেছে বলে জানালেন মমতা। তবে এখনই যাচ্ছেন না। লোকসভা ভোট মেটার পর তিনি যাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,'এবারও আমন্ত্রণ পেয়েছি। জুনের পর আবারও যাব। আমি মনে করি, লন্ডন শুধু আপনাদের শহর নয়, আমাদেরও। কারণ আমাদের বহু মানুষ কাজ করে সেখানে। ইংরেজির মাধ্যমে আমরা গোটা বিশ্বে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি।'
আগে বইমেলা ছোট জায়গায় হত। এখন জায়গা অনেক বেড়েছে। মমতা বলেন,'আমাদের বইমেলায় এসে মিশেছে বিশ্বমেলায়। কলকাতা বইমেলা আগে ছোট জায়গায় হত। ৯৫ সাল থেকে আমার বই বেরোচ্ছে। ১৯৯৫ সালে 'উপলব্ধি' আমার জীবনের প্রথম বই। দেশকে দিয়ে বের করেছিলাম। তখন দেখতাম ছোট্ট জায়গায় জায়গায় বইমেলা হত। আজ বইমেলায় কত জায়গা! এক একটা বুক স্টল যেভাবে তৈরি হয়েছে, অবাক হয়ে গিয়েছি। এখন স্থায়ী বইমেলা প্রাঙ্গনেই মেলা বসে।'
বইমেলার জন্য বিশেষ সরকারি বাস চলছে। করুণাময়ী এবং ময়ূখ ভবনের কাছে দু’টি বাসস্ট্যান্ড আছে। বিকেল ৩টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সেখান থেকে বাস পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি রবিবারও চলবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। শিয়ালদহ, হাওড়া স্টেশন, যাদবপুর, রাসবিহারি, ধর্মতলা, ডানকুনি ও সাঁতরাগাছি থেকে পাওয়া যাবে বাস।