২০২১ সালে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরপরই ২০২৪ লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্য সাংগঠনিকস্তরে রদবদল এনেছেন। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুকুল রায়কে দলে ফিরিয়েই দায়িত্ব দিয়েছেন উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির। বলা যেতে পারে, বসে নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে BJP-কে টক্কর দিতে হলে ও গেরুয়া বিরোধী জোটের প্রধান মুখ হয়ে উঠতে গেলে রাজ্যের বাইরে সংগঠনকে মজবুত করা প্রয়োজন। সেকথাও বিলক্ষণ জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ঠিক সেই কারণেই আপাতত একক প্রচেষ্টায় ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তার প্রতিফলন দেখা যেতে পারে একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল মঞ্চে।
এমনিতেই কিছুদিন আগেই যশবন্ত সিংকে দলে যোগদান করিয়ে চমক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, একুশের মঞ্চে মমতার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে হাত মেলাতে পারেন শত্রুঘ্ন সিনহা ও তামিলনাড়ুর ভাইকো ওরফে ভাইয়াপুরি গোপালাস্বামী। মারুমালারচি দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাজহাগাম অর্থাৎ এমডিমকে আঞ্চলিক দল নিয়ে রাজনীতি করেন ভাইকো। কিন্তু তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু জায়গায় প্রভাব রয়েছে তাঁর।
কেন এঁদের দলে টানতে চাইছেন মমতা? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাজ্যের বাইরের জনপ্রিয় নেতাদের দলে টেনে বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে চাইছেন তিনি। আর পোড়খাওয়া মমতা এও জানেন, শুধু রাজ্যের মধ্যেই সংগঠনকে সীমাবদ্ধ রাখলে তাঁর হবে না। জাতীয় রাজনীতিতে দল হিসেবে তৃণমূলকে সত্যিকারের প্রভাব ফেলতে গেলে রাজ্যের বাইরেও পা রাখতে হবে।
আরও পড়ুন : ২২ জুলাই উচ্চ-মাধ্যমিকের রেজাল্ট, কোথায়-কী ভাবে দেখা যাবে?
আবার এও শোনা যাচ্ছে এই ২ জনের পাশাপাশি আরও কয়েকজন জাতীয় ক্ষেত্রে পরিচিত নেতা একুশের মঞ্চে মমতার হাত ধরতে পারেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, উত্তরপ্রদেশ ও ত্রিপুরা নিয়ে কাজ করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ২ রাজ্য থেকেও কেউ তৃণমূলে যোগ দিলেও সেটা অবাক করার মতো কিছু হবে না।