মধ্যরাতে জোড়া চিঠিতে সই করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই চিঠি গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। তাতে কী লেখা আছে? নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তার জবাব দিলেন মমতা। বললেন,'বিদেশযাত্রার আগে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল।'
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। সেই আবহেই রাজ্যপাল হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, মধ্যরাতে পদক্ষেপ করবেন। সেই মতো শনিবার রাতে দুটি চিঠিতে সই করেন সিভি আনন্দ বোস। ওই চিঠির প্রাপক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদী। ওই চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে রাজ্যপাল বলেছেন, 'যিনি পেয়েছেন তিনিই যা বলার বলবেন।'মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'সেরকম কিছু না। আমি বিদেশে যাচ্ছি, তাই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।'
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, চিঠি প্রকাশ করুন মুখ্যমন্ত্রী। তার উত্তরে মমতা বলেন,'ব্যক্তিগত চিঠি প্রকাশ করতে পারি না। এর সঙ্গে সরকারের কোনও যোগ নেই।'
এ দিনই চিঠি প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ যাচ্ছে, তাঁকে নতুন করে আমি টেনশন দিতে চাই না। রাজ্যকে যা পাঠানো হয়েছে তা নিয়ে এখন আলোচনার সময় নয়। মুখ্যমন্ত্রী ফিরে এলে এ নিয়ে আলোচনা হবে'
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দিন কয়েক আগে মধ্যরাতে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেন। যা নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ রাজ্যের শাসক দল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অর্থনৈতিক অবরোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। রাজ্যপালকে আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। শনিবার সিভি আনন্দ বোস হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন,'আজ মধ্যরাতে কী করি দেখুন!''শহরে ভ্যাম্পায়ারের উদয় হয়েছে' পাল্টা দেন ব্রাত্য। সেদিন রাতেই দুটি 'গোপন' চিঠিতে সই করেন রাজ্যপাল বোস। একটি চিঠির প্রাপক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর একটির প্রাপক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখবন্ধ খামে ভরা জোড়া 'গোপন' চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।