scorecardresearch
 

Mamata On Sukanta And Nishikant: 'অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক বাধার পর বাংলা ভাগের চক্রান্ত', তোপ মমতার

আমি কিছুক্ষণ থাকব। বলতে দিলে বলব। নইলে প্রতিবাদ করে বেরিয়ে আসব। চেষ্টা করব রাজ্যের হয়ে কথা বলার। হেমন্ত যাচ্ছে। ও নিজের রাজ্যের হয়ে কথা বলবে। বললেন মমতা।

Advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • শুক্রবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা মমতার।
  • শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠক।
  • বৈঠকে থাকবেন মমতা।

শনিবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব নীতি আয়োগের বৈঠক। ওই বৈঠকে হাজির থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিলেন। তার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করলেন, বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে বিজেপি। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে উত্তরবঙ্গকে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সেই বিতর্কের মাঝেই বৃহস্পতিবার লোকসভায় বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দাবি করলেন, হিন্দুদের অস্তিত্ব বাঁচাতে মুর্শিদাবাদ ও মালদাকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হোক। শুক্রবার দিল্লি যাওয়ার আগে বিজেপির দিকে তোপ দাগলেন মমতা। অভিযোগ করলেন, এটা বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র। 

'দেশকে টুকরো টুকরো করার পরিকল্পনা'     

আরও পড়ুন

এ দিন মমতা বলেন,'বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত করছে। একদিকে অর্থনৈতিক বাধা, অন্যদিকে ভৌগলিক বাধা, রাজনৈতিক বাধা এবং বিভিন্ন দিক দিয়ে ঘিরে...দেশকে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। সংসদ চলার সময়ে মন্ত্রী বাংলাকে ভাগ করার বিবৃতি দিচ্ছেন। আবার একই দলের নেতা বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং বাংলাকে ভাগ করার কথা বলছেন। বাংলাকে ভাগ করার অর্থকে দেশকে ভাগ করা'।
 

বাজেট নিয়ে ক্ষোভ মমতার 

বাজেটে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা। তাঁর কথায়,'আগেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম (নীতি আয়োগের বৈঠকে)। আমাদের লিখিত ভাষণ পাঠাতে বলেছিল ৭ দিন আগে। তারপর বাজেট হয়েছে। বাজেটে বাংলা-সহ বিরোধী রাজ্যগুলির সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়েছে। আমরা রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব মেনে নিতে পারছি না'।

নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে মমতা

নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করেছেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থে বৈঠকে হাজির থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,'আমি কিছুক্ষণ থাকব। কথা বলতে দিলে বলব। না হলে প্রতিবাদ করে বেরিয়ে আসব। চেষ্টা করব নিজের রাজ্যের হয়ে কথা বলার। যত দূর জানি হেমন্তও (হেমন্ত সোরেন) যাচ্ছে। ও নিজের রাজ্যের কথা বলবে'। 

Advertisement

কী বলেছেন সুকান্ত মজুমদার?

বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকেরও প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। ওই বৈঠকে উত্তরবঙ্গ সংক্রান্ত প্রস্তাব জমা দেন। এ নিয়ে সুকান্ত বলেন,'এত দিন উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন হয়নি বলেই বারবার নানা দাবি ওঠে। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির উন্নয়নে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করলে উন্নয়নে গতি আসবে। এতে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি থাকবে না বলে মনে করি। এতে রাজ্যেরই উন্নতি হবে'।

কী বলেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে?

বৃহস্পতিবার লোকসভায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি বলেন,'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ এবং বাংলা থেকে মালদা ও মুর্শিদাবাদের লোকজন এসে আমাদের এলাকার মানুষকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। গ্রামের পর গ্রাম ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এটি একটি খুব গুরুতর বিষয় এবং আমি এটি রেকর্ডে বলছি। আমি যা বলেছি তা ভুল হলে আমি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত। মুর্শিদাবাদ, মালদা থেকে লোকজন এসে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজ করছে। ঝাড়খণ্ড পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। 'মুসলিমদের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এবং ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত।' এরপরেই তিনি বলেন, ' মালদা, মুর্শিদাবাদ, কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, কাটিহার এবং পুরো সাঁওতাল পরগনাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা উচিত। না হলে, হিন্দুরা মুছে যাবে। এনআরসি কার্যকর করুন।'

Advertisement