আরজিকর কাণ্ড নিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি। দাবি করলেন তিনি। জানালেন বিধানসভায় অধিবেশন ডেকে ফাঁসির পক্ষে বিল আনবেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, দোষীদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। কেন দোষীদের ফাঁসি হবে না, সেই প্রশ্নও তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানান, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তিনি স্পর্শকাতর। তবে দোষীদের ফাঁসি হওয়া দরকার।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'যে অত্য়াচারী তাকে কেন ছেড়ে দেওয়া হবে? কেন তাদের সাজা হবে না? প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানালাম, ন্যায় সংহিতা তৈরি করেছেন। একের পর এক ধাপ করেছেন। এই ন্যায় সংহিতা করার কী প্রয়োজন ছিল? রাজ্যের হাতে পাওয়ার নেই। যারা ধর্ষক তাদের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি,ফাঁসি, ফাঁসি। এই একটা কাজ করলে সবাই ঠান্ডা হয়ে যাবে।'
তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিধানসভায় তিনি অধিবেশন ডাকবেন। সেখান থেকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধর্ষকদের শাস্তির জন্য বিল আনবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কোর্ট কী করবে আমি জানি না। বিজেপি বা কেন্দ্র কী করবে আমি জানি না। তবে এটা আমি করব।'
বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস দিনটি তিনি দেশের সমস্ত নির্যাতিতদের জন্য উৎসর্গ করলেন। বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস দিনটি তিনি দেশের সমস্ত নির্যাতিতদের জন্য উৎসর্গ করলেন। গত কয়েকদিনে মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, বিহার ওড়িশা, মণিপুর , অসমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন। সব নির্যাতিত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বনধ ডাকা হয়েছে। তাঁর কথায়, 'বিজেপি ডেডবডি চাই। দোষীদের যাতে ফাঁসি না হয় সেজন্য আন্দোলনটাকে জল ঢেলে দিয়েছে। ওরা চক্রান্ত করছে। আজকেও আমাদের ছেলেমেয়েরা যখন আসছিল, বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশকে মারা হয়েছে। রেলের সিগন্যাল ইচ্ছে করা দেরি করা হয়েছে। বিজেপি পার্টি একটা দলদাসের সরকার। এদের মতো নির্লজ্জ নেই। আমরা বনধের রাজনীতি বিশ্বাস করি না। আগে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বনধ করো। শুধু এজেন্সি দিয়ে মানুষেরে উপর অচ্যাচার করা ছাড়া কিছু করেনি। অসম, মণিপুরের ঘটনায় পদত্যাগ করেনি।'
নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশের উপর অন্যায়ভাবে অত্যাচার চালানো হয়েছে বলেও দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'পুলিশ সংযত ছিল। কারও কান ফাটিয়ে দিয়েছে। কারও হাত পা ভেঙে দিয়েছে। ওরা সংযত থেকেছে। পুলিশ ডেডবডি তুলে দেয়নি। ক'দিন আগেও তো বাই ইলেকশন হল। গোহারা হেরেও লজ্জা নেই।'