বিধানসভা নির্বাচনের বিপুল জয়ের পরে তৃণমূলের আপাত লক্ষ্য জাতীয় রাজনীতি। সেই লক্ষ্যে নিজেদের সাজাতে শুরু করেছে তৃণমূল। ২১শের শহিদ দিবসে বিভিন্ন রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ ভার্চুয়ালি শোনানো হবে। সেই তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা এবং দিল্লি। এবার তাতে নতুন সংযোজন গুজরাটও। আহমেদাবাদের স্টেট ট্রান্সপোর্ট বাসস্ট্যান্ডে গুজরাটি ভাষায় লাগানো রয়েছে তৃণমূলের পোস্টার। সেখানে লেখা রয়েছে ২১শে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনানো হবে। ফলে কার্যত প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর গুজরাতে তৃণমূলের তৎপরতা স্বাভাবিক পাবেই তাৎপর্য বাড়িয়েছে।
আপাতত বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বাড়ানোর দিকে নজর রয়েছে তৃণমূলের। তারমধ্যে সবথেকে বেশি নজর অবশ্যই ত্রিপুরাতে। একসময়ে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক এই রাজ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। পরে দলত্যাগ করে তারা বিজেপিতে সামিল হন। ফলে পুরনো জমি এই রাজ্যে ফিরে পেতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। পাশাপাশি দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশেও নজর রয়েছে তৃণমূলের। আগামী বছরই উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন। সেই জন্য সংগঠন বিস্তারে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। তামিলনাড়ুতেও দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লিখন। শোনা যাচ্ছে, অসমেও সংগঠন বিস্তারে মরিয়া ঘাসফুল। । ফলে এবারই রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে ভিনরাজ্যে প্রভাব বাড়াতে শুরু করেছে তৃণমূল। করোনার জন্য এবার ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশ ভার্চুয়ালি হবে। সব কটি রাজ্যে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই শোনানো হবে মমতার ভাষণ।
এতোগুলি রাজ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনানো হবে, তাতেই স্পষ্ট এবার বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করতে যায় ঘাসফুল শিবির। তবে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে মমতার ভাষণ স্বাভাবিক ভাবেই অতি গুরুত্বপূর্ণ। আগামী বছরই গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ফলে বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে তৃণমূলের এই তৎপরতা কিনা, তা নিয়েও শুরু জল্পনা। বিধানসভা নির্বাচনের পরেই তৃণমূলের এখন লক্ষ্য ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। সেই দিকে তাকিয়ে জাতীয় স্তরে সংগঠন বাড়াতে মরিয়া বাংলার শাসকদল। ২১ তারিখ অর্থাৎ বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।