Manoj Verma: বিনীত গোয়েলের জায়গায় কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার(New Police Commissioner) হলেন মনোজ ভার্মা। বিনীত গোয়েলের জায়গায় এই পদ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। এডিজি এসটিএফ করা হচ্ছে বিনীত গোয়েলকে। জ্ঞানবন্ত সিংহ হলেন নতুন এডিজি। অন্যদিকে জাভেদ শামিম হলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা।
গতকালই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, মঙ্গলবার বিকেল ৪টের মধ্যে নতুন কমিশনারের নাম জানানো হবে। তবে তার আগেই মনোজ ভার্মার নাম ঘোষণা করা হয়ে গেল। মনোজ ভার্মা ১৯৯৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।
এই মনোজ ভার্মাই কলকাতা পুলিসের ডিসি ট্রাফিক ছিলেন একসময়। কলকাতা পুলিশে কাজে তাঁর অতীত অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে কর্মরত ছিলেন।
২০০৮ সালে যখন জঙ্গলমহলে মাওবাদী অপারেশন হয়েছিল, তখন তিনিই ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি। এই জঙ্গলমহলের মাওবাদী অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেই সময় সফলভাবে তিনি মাওবাদী অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন।
এরপরে রাজ্য সরকার একটি আলাদা বাহিনী তৈরি করে, যার নাম কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ফোর্স(CIF)। যখন কিষেণজির পুলিশ এনকাউন্টার হয়েছিল, সেই সময় তিনি সিআইএফ-এর দায়িত্বে ছিলেন।
এরপর মনোজ ভার্মা ফের শিরোনামে আসে ব্যারাকপুরকে কেন্দ্র করে। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার হিসাবে তিনি দীর্ঘদিন ছিলেন। সেই পদে তাঁকে দীর্ঘদিন রাখা হয়।
এসি অফিস, সাদা গাড়ি নয়, একেবারে গ্রাউন্ডে নেমে কাজ করেন মনোজ ভার্মা। ব্যারাকপুরে কখনও নিজেই লাঠি হাতে নেমে উত্তেজনা কন্ট্রোল করেছেন। কখনও নিজেই ছুটে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করেছেন। পুলিশ মহলে বলা হয়, অশান্ত ব্যারাকপুরকে ঠাণ্ডা করার পিছনে মনোজ ভার্মার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। অবশ্য তাড়াতাড়ি করে হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছাড়াই বিপদের মুখে নেমে পড়ায় অনেকে তাঁর সমালোচনাও করতে ছাড়েননি।
এরপর মনোজ ভার্মাকে নিয়ে আসা হয় এডিজি আইনশৃঙ্খলা পোস্টে। এটাই রাজ্য পুলিশের ডিজির পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ। এই পদটি বেশ কিছুদিন হল তিনি সামলাচ্ছিলেন। এবার সেই মনোজ ভার্মাকেই কলকাতা পুলিশের কমিশনার হিসাবে নিযুক্ত করল রাজ্য সরকার।