scorecardresearch
 

বন্ধ বাড়ি থেকে উদ্ধার একই পরিবারের ৩ জনের দেহ, জোকায় চাঞ্চল্য

বুধবার সাতসকালে জোকা থেকে উদ্ধার একই পরিবারের ৩ জনের দেহ। বাবা, মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জোকার মণ্ডলপাড়ার ঘটনা। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে ওই বাড়ি থেকে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না।

Advertisement
জোকা থেকে উদ্ধার একই পরিবারের ৩ জনের দেহ (প্রতীকি ছবি) জোকা থেকে উদ্ধার একই পরিবারের ৩ জনের দেহ (প্রতীকি ছবি)
হাইলাইটস
  • শহরে ফের রহস্যমৃত্যু
  • বুধবার সাতসকালে জোকা থেকে উদ্ধার একই পরিবারের ৩ জনের দেহ
  • পাখির ব্যাবসা করতেন তাঁরা। তিন চারদিন আগে সব পাখি বিক্রি করে দেন তাঁরা

শহরে ফের রহস্যমৃত্যু। একই পরিবারের ৩ জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। খুন না আত্মহত্যা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

বুধবার সাতসকালে জোকা থেকে উদ্ধার একই পরিবারের ৩ জনের দেহ। বাবা, মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জোকার মণ্ডলপাড়ার ঘটনা। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে ওই বাড়ি থেকে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক ডাকাডাকির পরেও কারোর সাড়া না পেয়ে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভেঙে তিন জনের দেহ উদ্ধার করেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, ছাদের পাশে একটি ঘরে ঝুলছিল তিনটি দেহ। চন্দ্রব্রত মণ্ডল (৫০), মায়ারানি মণ্ডল (৪৫) ও সুপ্রিয় মণ্ডল (২৮)। তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন না খুন করা হয়েছে, এই নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে। খুন করে তাঁদের ঝুলিয়ে দেওয়া হতে পারে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কীভাবে একসঙ্গে ৩ জন মারা গেলেন সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রতিবেশীদেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কারও সঙ্গে ঝামেলা ছিল কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

যদিও এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও সন্দেহজনক তথ্য পুলিশের হাতে আসেনি। ঘটনাটিকে স্বাভাবিক আত্মহত্যার ঘটনা মানতে নারাজ পুলিশ। ওই পরিবারের ব্যাপারে জানতে তথ্য অনুসন্ধান শুরু করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা। শেষবার তাঁদের ফোনে কে ফোন করেছিলেন, এবং কাদের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল পরিবারের তিনজনের, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

তিনজনের মোবাইল ফোনই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফোনের কললিস্ট খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। শেষবার যাদের সঙ্গে কথা হয়েছিল পরিবারের তিন জনের তাদের ডেকে জেরা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাখির ব্যবসা করতেন তাঁরা।

Advertisement

তিন চারদিন আগে সব পাখি বিক্রি করে দেন তাঁরা। পরিকল্পনা করেই আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। আত্মীয়দের দাবি, কোনও অশান্তি তাঁদের পরিবারে ছিল না। বাজারে ধার-দেনা হয়ে যাওয়ার কারণেই তাঁরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে জানিয়েছেন।

 

Advertisement