নির্বাচন পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এর প্রেক্ষিতে রিপোর্টের সফট কপি রাজ্য এবং আবেদনকারী উভয়পক্ষকেই দেওয়ার কথা বলেছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২২ জুলাই।
ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত ১৮ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে একটি ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করে জাতীয় মানবিধিকার কমিশন। আদালতে অন্তর্বর্তী রিপোর্ট পেশ করার আগে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন কমিটির সদস্যরা।
এদিকে যাদবপুরে কমিটির সদস্যদের বাধা দেওয়ার ঘটনা আটকানয় ব্যর্থতার কারণে দক্ষিণ কলকাতার ডিসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে শোকজ নোটিশ জারি করে আদালত। যার প্রেক্ষিতে এদিন আদালতে রাজ্য ও পুলিশের হয়ে সওয়াল করেন বিশিষ্ঠ আইনজীবী কপিল সিবাল।
প্রসঙ্গত, এর আগে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ঘটনায় মৃত অভিজিত সরকারের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের কথা বলেছিল আদালত। কারণ অভিজিতের ভাই বিশ্বজিত সরকার দাবি করেন, দেহ শনাক্ত করা যায়নি। এদিন মৃতের সঙ্গে বিশ্বজিৎ সরকারের ডিএনএ মিলিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মতো আগামী ১৫ জুলাই এই পরীক্ষা হওয়ার কথা। কমান্ডো হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের পর তা সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠান হবে বলে জানা গিয়েছে।