Nusrat Jahan ED: ইডি-র দফতর থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মন্দিরে পুজো দিলেন নুসরত জাহান। মঙ্গলবার প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হন তিনি। এরপর পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে ফেরার পথে মন্দিরে থামেন। দুধ সাদা SUV থেকে নেমে সেখানে পুজো দেন।
জিজ্ঞাসাবাদ থেকে বেরিয়েই পুজো? এর উত্তরে নুসরত বললেন, 'আমি প্রতি মঙ্গলবারেই মন্দিরে আসি। আজকের পর যদি আবার সামনের মঙ্গলবারে আসেন, তখনও আমাকে এখানেই পাবেন।'
ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব কেমন হল? এমনিতেই সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হওয়ার পথে নুসরত জানিয়েছিলেন, 'সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।' মন্দিরে ফের তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। তাঁদের নুসরত বলেন, 'বেশি আওয়াজ করবেন না। মন্দিরের সামনে আছি আমরা।' এরপর নুসরত বলেন, 'আমাকে যা যা প্রশ্ন করা হয়েছে, আমি সব জবাব দিয়ে দিয়েছি। যদি ওনাদের আবার প্রয়োজন হয়, আমি আবার যাব।'
জিজ্ঞাসাবাদ থেকে বেরিয়েই মন্দিরে কেন? এর জবাবে নুসরত জানালেন, 'কারণ আজ মঙ্গলবার। আমি আসি।'
শুধু পুজো দেওয়াই নয়। এরপর সাংবাদিক, মন্দিরের অন্যদের সঙ্গে প্রসাদও ভাগ করে নেন নুসরত। বেশ হাসিমুখেই ছিলেন তিনি। ইডি-র দফতর থেকে বের হওয়ার সময়েও তাঁর মুখে বেশ হাসি ছিল। একেবারে খোশ মেজাজেই যেন মন্দিরে পুজো দিতে যান তিনি।
গত সপ্তাহে, ৫ সেপ্টেম্বর ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডের তদন্তে নুসরতকে তলব করে ইডি। সেই সময়ে নুসরত বলেছিলেন, 'আমি নিশ্চিতভাবে সহযোগিতা করব। যদি এমন কিছু সত্যিই ঘটে থাকে তাহলে আমি নিশ্চয় আমার সাধ্যমতো তদন্তে সহযোগিতা করব।'
প্রসঙ্গত, সমবায়ের মাধ্যমে ফ্ল্যাট কেনার জন্য 'সেভেন সেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড' নামে একটি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন তৃণমূল সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। ২০১৪ সালে এই সংস্থার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে তোলা হয়। বিনিয়োগকারীদের বলা হয়েছিল, আগামী চার বছরের মধ্যে ফ্ল্যাট তৈরি করে দেওয়া হবে। তবে ২০১৮ সাল পার হলেও ফ্ল্যাট মেলেনি।
প্রতারিত বিনিয়োগকারীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশমাফিক পুলিশি তদন্ত শুরু হয়।
বিনিয়োগকারীদের দাবি, মোট ৪২৯ জনের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছিল। সেই টাকায় সংস্থার ডিরেক্টররা বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছিলেন বলে অভিযোগ। তার মধ্যে নুসরতও ছিলেন। মোট ২৩ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা প্রতারণা হয়েছে বলে অভিযোগ।