Suvendu Adhikari: সংসদের অধিবেশনে নিরাপত্তার অভাব ঘিরে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। বুধবার সংসদে অধিবেশন চলাকালীন রং বোমা নিয়ে তাণ্ডব দেখায় ২ ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের দাবি, যত সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী লোকসভায় থাকা উচিত তার অর্ধেক অধিবেশন চলাকালীন উপস্থিত ছিল। আর পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা তারচেয়ে সিআইএসএফ নিয়ে ঘোরেন। এরই পাল্টা জবাব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর দাবি, 'দেশবিরোধী শক্তি তৃণমূল কংগ্রেস এর পিছনে আছে কিনা তার তদন্ত হওয়া দরকার।'
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আরামবাগের সভা করতে যান। সেখান থেকে সংসদে তাণ্ডব-হামলার ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই আঙুল তোলেন বিরোধী দলনেতা।
পাশাপাশি, ধীরাজ সাহুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়, এই প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, "গর্তের নীচে টাকা ঢুকিয়ে রাখলেও, খুঁড়ে বের করবে। যেভাবে ধীরাজ সাহুর বাড়ির নীচ থেকে গোডাউন থেকে ৩৫৬ কোটি টাকা ইনকাম ট্যাক্স বের করেছে। অর্থাৎ ইন্ডির পিন্ডি চটকাচ্ছে। তৃণমূলের চোরেদের ওপরে একেবারে সঠিকভাবে বেআইনি সম্পদ উদ্ধার হবে।"
মহীশূরের বিজেপি সাংসদের বহিষ্কারের দাবি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, "এটি ষড়যন্ত্র। এই যে বেঙ্গল লিংক, যাদবপুরেও বন্দে মাতরম বলতে পারে না, জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারে না। সেখানে 'টুকরে টুকরে গ্যাং' আছে। এদের যারা তৈরি করেছে, যারা দেশে থেকে দেশবিরোধী কাজ করছে, এদের উৎখাত করা দরকার। এদের পিছনে নিশ্চিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দেশবিরোধী শক্তি আছে।"
প্রসঙ্গত, বুধবার সংসদে রং হামলা-তাণ্ডবের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। আচমকাই দর্শকদের গ্যালারি থেকে দু'জন ঝাঁপ দেয়, ছুড়ে দেয় রং বোমা। ঘটনায় অভিযুক্ত ৬। যার মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে চলছে চাপানউতোর। এরই মধ্যে সংসদে তাণ্ডবে অন্যতম অভিযুক্ত ললিত ঝা'য়ের সঙ্গে রয়েছে বাংলা যোগ। যাকে অস্ত্র করেছে বিরোধী দল। জানা যায়, গত এপ্রিলে সেন্ট্রাল এভিনিউতে একটি অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় নীলাক্ষ ও ললিতের। এরপর নীলাক্ষ তাদের একটি এনজিওতে কাজের অফার দেন ললিতকে। ললিতও সেটা গ্রহণ করেন। সেই ললিতই সংসদে তাণ্ডবের একটি ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপ মারফত পাঠায় নীলাক্ষকে। পরে সেই ভিডিওটি ডাউনলোড করেন নীলাক্ষ। যদিও গোটা ভিডিওটি এখনো দেখেননি বলে দাবি করেছে নীলাক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তাঁর বাড়িতে আসে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্মকর্তারা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।