scorecardresearch
 

Partha-Arpita: পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক ছিল কাকা-ভাইঝির মতো, আদালতে দাবি আইনজীবীর

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ছিল 'কাকা-ভাইঝির মতো', মঙ্গলবার আদালতে এমনটাই দাবি করলেন পার্থের আইনজীবী। তাঁর দাবি, অর্পিতার সঙ্গে পার্থের শুধুমাত্র ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল।

Advertisement
পার্থ-অর্পিতা, অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা (ডান দিকে)। পার্থ-অর্পিতা, অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা (ডান দিকে)।
হাইলাইটস
  • পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ছিল 'কাকা-ভাইঝির মতো'।
  • মঙ্গলবার আদালতে এমনটাই দাবি করলেন পার্থের আইনজীবী।
  • তাঁর দাবি, অর্পিতার সঙ্গে পার্থের শুধুমাত্র ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল।

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ছিল 'কাকা-ভাইঝির মতো', মঙ্গলবার আদালতে এমনটাই দাবি করলেন পার্থের আইনজীবী। তাঁর দাবি, অর্পিতার সঙ্গে পার্থের শুধুমাত্র ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল।

২০২২ সালের ২২ জুলাই সকালে দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে পার্থের বাড়িতে তদন্তকারী সংস্থার অভিযান ঘিরে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। দিনভর তল্লাশি অভিযান শেষে সেদিন গভীর রাতে (তারিখ অনুযায়ী ২৩ জুলাই) গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের মহাসচিবকে। পরের দিন সকালে তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে বেরোন তদন্তকারীরা। এই সময়ই তাঁর 'ঘনিষ্ঠ' বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। পরে অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকেও উদ্ধার করা হয় কোটি কোটি টাকা এবং সোনাদানা। সবমিলিয়ে মোট নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে এক সঙ্গে এত টাকা উদ্ধারের ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। অর্পিতাকেও গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে পার্থের ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের 'পহেলা বাইশ' ওয়ার্ড। পার্থকে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি, মন্ত্রীপদ থেকেও সরানো হয়েছে তাঁকে।

মঙ্গলবার পার্থের জামিনের মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। সেই শুনানি চলাকালীন পার্থের আইনজীবী আদালতে জানান, ব্যবসায়িক সূত্রে পার্থের সঙ্গে অর্পিতার যোগাযোগ ছিল। এই প্রসঙ্গে পার্থের আইনজীবী আদালতে জানান, দু'জনের মধ্যে কাকা-ভাইঝির সম্পর্ক ছিল। 

আরও পড়ুন


গ্রেফতার হওয়ার পর বার বার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন অর্পিতা। তাঁকে বেশ কয়েক বার কাঁদতেও দেখা গিয়েছে। অতীতে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছিল, তাঁর বাড়ি থেকে যে পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, সব টাকা পার্থের বলে দাবি করেছিলেন অর্পিতা। অন্য দিকে, নিজেকে নির্দোষ বলে বার বার দাবি করেছেন পার্থও। 

Advertisement

Advertisement