১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় ইডি-কে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং অরূপ রায়।
রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেলে। ইডির হানায় তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জোড়া ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৫০ কোটি নগদ। সেই সঙ্গে কয়েক কোটি টাকার সোনাদানা ও বৈদেশিক মুদ্রা। এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই আবহেই সোমবার আয়ের অতিরিক্ত সম্পত্তি মামলায়কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে পার্টি করা হোক। সেই নির্দেশই পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমরা। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানি হতে পারে।
২০১৭ সালে রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে হাইকোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। দুই মামলাকারী অনিন্দ্যসুন্দর দাস এবং বিপ্লবকুমার চৌধুরী অভিযোগ করেন, ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ৫ বছরে কীভাবে এই ১৯ জনের সম্পত্তি এতটা বাড়ল? নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামাও তুলে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে দায়ের হয় আরও একটি মামলা। মামলাটি করেন জনৈক অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাতে সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরীর নামও ছিল। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। আদালত জানিয়েছিল, আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইডিকে পার্টি করতে হবে।
তৃণমূলের ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর নাম- ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, জাভেদ আহমেদ খান, অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, সব্যাসাচী দত্ত, শিউলি সাহা, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ এবং স্বর্ণকমল সাহা। প্রাক্তন দুই মন্ত্রী অমিত মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার নামও রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সাধন পাণ্ডেও রয়েছেন তালিকায়।