কলকাতার বাজারে আলুর দাম ক্রমশ কমছে। রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের তৎপরতায় এই পরিবর্তন বলে দাবি করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গঠিত টাস্ক ফোর্স বিভিন্ন বাজারে ঘুরে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। বিগত কিছুদিন ধরে আলুর দাম মধ্যবিত্ত বাঙালিকে হিমশিম খাওয়াতে বাধ্য করেছিল। বিশেষ করে জ্যোতি ও চন্দ্রমুখী আলুর দাম বেড়ে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের কারণে আলুর যোগান কমে যাওয়া এবং দাম বাড়ার মূল কারণ বলে চিহ্নিত করেছিলেন তিনি।
সোমবার বাজার পরিদর্শনের পর টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, তাঁদের তৎপরতায় পাইকারি বাজারে আলুর দাম কমেছে এবং খুচরো বাজারেও দাম স্বাভাবিক হয়ে আসছে। বাঁশদ্রোণির সুপার মার্কেটে জ্যোতি আলু ৩০ থেকে ৩২ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে, যা অন্যান্য বাজারের তুলনায় কিছুটা কম। তবে গড়িয়াহাট বাজারে এখনও কিছুটা বেশি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে। টাস্ক ফোর্স জ্যোতি আলুর দাম ৩০ টাকায় স্থির করার চেষ্টা করছে।
রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, 'বাঁশদ্রোণী বাজারে আলু ও পেঁয়াজ ও মুরগির দাম ঠিকই আছে। তবে গড়িয়াহাট বাজারে জ্যোতি আলু একটু বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ৩২-৩৩ টাকা কেজি। চন্দ্রমুখী আলু ৩৮ টাকা কেজি। আমরা জ্যোতি আলুর দাম ৩০ টাকা করতে বলেছি। এপর্যন্ত আমরা ২৪-২৫টা বাজারে ঘুরেছি। যেখানেই দাম বেশি মনে হয়েছে, কথা বলেছি। দাম কমানোর কথা বলেছি। ৩০-৩১ টাকার মধ্যে জ্যোতি আলু বিক্রি করতে হবে। এছাড়া সব সবজিই স্বাভাবিক। আলুর যোগানও স্বাভাবিক। দামও স্বাভাবিক। এখনও আমাদের কাছে খবর আছে কোথাও কোথাও দাম বেশি নিচ্ছে। কাল আমরা ঝিঞ্জিরা বাজার, বেহালার পৌর পর্ণবীথিকা ও শখের বাজারে যাব।'
বাজারগুলিতে খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, অন্যান্য সবজির দামও অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে টমাটো, ক্যাপসিকাম, বিন্সের মতো অন্য রাজ্য থেকে আসা সবজির দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। আগামী দিনে ঝিঞ্জিরা বাজার, বেহালার পৌর পর্ণবীথিকা ও সখের বাজারে অভিযান চালাবে টাস্ক ফোর্স। তাদের লক্ষ্য সব বাজারে আলুর দাম স্থির রাখা এবং সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, টাস্ক ফোর্সের এই তৎপরতায় কলকাতার বাজারে স্বস্তি ফিরে আসছে। আশা করা যায়, আগামী দিনেও এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে।