দলীয় নির্দেশ মেনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কলকাতায় ভোট দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। তবে দিল্লি গিয়েই ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন শিশির অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছেলে তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু। কাকে ভোট দিলেন তাঁরা? এ প্রশ্নের জবাবে 'বাক্যের কৌশলে'র আশ্রয় নিয়েছেন দু'জনেই। তাঁরা দাবি করেছেন দলের প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন।
দ্রৌপদী মুর্মুকে সেরা প্রার্থী হিসেবে অভিহিত করেছেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। এমনকি সদ্য প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও সেরা আখ্যা দিয়েছেন। তবে শিশিরের বক্তব্য, দলের প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন। অন্তত সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তেমনটাই দাবি তাঁর। শিশির বলেন,'দল যাঁকে বলেছে তাঁকে ভোট দিয়েছি। দ্রৌপদী সেরা রাষ্ট্রপতি। কিন্তু ভোট দেওয়া সম্ভব নয়। দল যা বলেছে তাই-ই হয়েছে।'
উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জগদীপ ধনখড়কে সেরা রাজ্যপাল বলেও উল্লেখ করেছেন শিশির। তাঁর কথায়, 'উনি সেরা প্রশাসক। আমাদের দলের সঙ্গে অনেক ঘটনা আছে। তবে সেরা রাজ্যপাল। নিশ্চিতভাবে ভাল উপরাষ্ট্রপতি হবেন।'তাহলে কি ধনখড়কে ভোট দেবেন? শিশির বলেন,'দল যদি বলে জগদীপ ধনখড়কে ভোট দিতে দিয়ে দেব।'
গত বিধানসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীর সভায় দেখা গিয়েছিল শিশির অধিকারীকে। তার আগেই দলবদল করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে এখনও খাতায়কলমে তৃণমূল সাংসদ শিশির ও দিব্যেন্দু। শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের জন্য লোকসভার স্পিকারের কাছে দরবারও করেছেন তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দলত্যাগবিরোধী আইন থেকে বাঁচতেই শিশির কৌশলী বিবৃতি দিয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়,'এটা কৌশলী বিবৃতি। দলত্যাগ আইনের জটিলতা কাটাতে এটা বলছেন। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির মঞ্চে গিয়ে বড় বড় কথা বললেন। তৃণমূলের মঞ্চ থেকে সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। আবার বিজেপিতে গিয়ে বলছেন তৃণমূলে আছেন। আমরা ধরেই নিয়েছি উনি তৃণমূলে নেই।'
আরও পড়ুন- রবি সকালে মমতাকে ফোন ধনখড়ের, চাইলেন সমর্থন, কী বললেন নেত্রী?