scorecardresearch
 

Rajanya Haldar : 'যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কি বেডরুম যে, কন্ডোম-মদের বোতল উদ্ধার হচ্ছে?', বললেন রাজন্যা

ক্যাম্পাস থেকে মদ, বিয়ারের বোতল, কন্ডোম উদ্ধার হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রকাশ্যে পড়ে থাকছে কন্ডোম। এটা কাঙ্খিত নয়। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়ার জায়গা। সেখানে এসব কেন পড়ে থাকবে ? ওটা তো বেডরুম নয়।

Advertisement
ফাইল ছবি ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • যাদবপুর নিয়ে বিস্ফোরক রাজন্যা হালদার
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কি বেডরুম যে, কন্ডোম-মদের বোতল উদ্ধার হচ্ছে?'
  • প্রশ্ন রাজন্যার

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে নজর কেড়েছিলেন। সেই রাজন্যা হালদারকে এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি ইউনিটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যাদবপুর এমনিতেই বাম ছাত্র সংগঠনগুলির আঁতুরঘর হিসেবে পরিচিত। সেই যাদবপুরে ক্যাম্পাসে রাজন্যার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ কি পারবে দাঁত ফোটাতে? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অস্বাস্থ্যকর বলে অভিযোগ করেছেন অনেতকেই। সেই পরিবেশ ফেরানোর ব্যাপারে কী কাজ করছে TMCP? জানালেন রাজন্যা। বললেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা তাঁদের লক্ষ্য। ক্যাম্পাসে যত্রতত্র কন্ডোম, মদের বোতল পড়ে থাকে। এমন পরিবেশ কাম্য নয়। 

প্রশ্ন : কার থেকে দায়িত্ব পেলেন? 

রাজন্যা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। 

আরও পড়ুন

প্রশ্ন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কি সরাসরি কথা হয়েছে ? 

রাজন্যা : না। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়নি। তবে উনিই আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। যাদবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। উনি পুরো বিষয়ের খোঁজ রাখছেন। আমার সঙ্গে কথা হয়েছে ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাসের। তাঁরা আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ হল, যাদবপুরে সুস্থ পরিবেশ ও বাতাবরণ ফিরিয়ে আনা। আমি সেই দায়িত্ব পালন করছি। আশা করছি, দলনেত্রীকে হতাশ করব না। 

প্রশ্ন : আপনি এক সময় প্রেসিডেন্সিতে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। জিতেওছিলেন নির্দল হিসেবে। তবে বামেদের এখন অনেকে অভিযোগ করছে, আপনি আইসি-র হয়ে কাজ করতেন ? 

রাজন্য : আমি নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলাম। আইসি-র সঙ্গে যুক্ত ছিলাম বলে যে অভিযোগ সামনে আসছে তা মিথ্যে। কেউ প্রমাণ করতে পারবে ? আমাকে বদনাম করার জন্য এসব রটাচ্ছে অনেকে। যাঁরা অভিযোগ করছে তাঁরা আইসির কাউকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। 

প্রশ্ন : সংবাদমাধ্যমে সামনে আসছে যাদবপুর ক্যাম্পাসের অস্বাস্থ্য়কর পরিবেশের ছবি।

Advertisement

রাজন্যা : হ্যাঁ। আমরাও সেই ছবি দেখেছি। ক্যাম্পাস থেকে মদ, বিয়ারের বোতল, কন্ডোম উদ্ধার হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রকাশ্যে পড়ে থাকছে কন্ডোম। এটা কাঙ্খিত নয়। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়ার জায়গা। সেখানে এসব কেন পড়ে থাকবে ? ওটা তো বেডরুম নয়। দিনের পর দিন এটা চলতে পারে না। এর দায় তো ইউনিউনের। সেখানে তো বাম ও অতিবাম সংগঠনের ইউনিয়ন রয়েছে। তাদের মদত ছাড়া এগুলো সম্ভব নয়। তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। 

প্রশ্ন : বহুদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মদ্যপান-সহ নানা অসামাজিক কাজ চলছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কীভাবে পরিবেশকে সুন্দর করবে ? 

রাজন্যা : পড়ুয়াদের বুঝতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কখনও মদ খাওয়ার বা ব্যক্তিগত পরিসরের জায়গা হতে পারে না। অনেক ছাত্র ছাত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে মদ খাওয়া নিয়ে সরাসরি কথাও বলছে। এটা আমার বোধগম্য হয় না। রুচি বলে একটা বিষয় আছে। কীভাবে কেউ যাদবপুরের মতো বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরকে বেডরুমের মতো ব্যবহার করতে পারে? 

প্রশ্ন : বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশের দাবি, যাদবপুর মুক্ত-স্বাধীনসত্ত্বার প্রতীক। যদি সিসিটিভি বসে তাহলে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হবে। 

রাজন্যা: মুক্ত থাকা মানে সিসিটিভির বাইরে থাকা ? এটা কেন বলা হচ্ছে সেটা বুঝতে পারছি না। আমাদের কাছে মুক্ত মানে হল যেখানে সব ধর্ম-বর্ণ ও মতাদর্শের সম্মান থাকবে। ভাবনার-দর্শনের অবাধ বিচরণ চলবে। মুক্ত মানে যেখানে সেখানে মদ খাওয়া নয়। 

প্রশ্ন : কয়েকদিন আগে আপনাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়, জানা ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

রাজন্য : হ্যাঁ। আমার জামা টেনে ছেঁড়া হয়। বেশ কয়েকজন বাম-অতিবাম ছাত্র-ছাত্রী এই কাজ করে। আমাদের বেশ কয়েকজনকে মারধরও করা হয়। সেদিন ছেলেদের বুকেও লাথি মারা হয়েছিল। তবে আমি মেয়ে বলে হয়তো আমার জামা টানার ঘটনা ঘটে। আমার জামা ছিঁড় যায় ও আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। 

প্রশ্ন : যাদবপুর কি তৃণমূল দখল করতে চাইছে ? কৌশলটা কী ? 

রাজন্যা : দখল শব্দটা ঠিক হবে না। আমাদের লক্ষ্য সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকা। যাদবপুরের এখন যে পরিবেশ তা ভয়ানক। অনেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আমরা চাই, সেই অচলাবস্থার অবসান হোক। প্রয়োজনে সিসিটিভি বসানোর দাবি জানাব। 


 

Advertisement