রেশন দুর্নীতি মামলায় আজ অর্থাত্ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)। জ্যোতিপ্রিয়র সল্টলেকের বাড়ির পাশাপাশি উত্তর কলকাতায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এহেন পরিস্থিতিতেই মিষ্টি হাতে সল্টলেকে জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে হাজির বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। তাঁর বক্তব্য, তিনি নিছকই বিজয়া শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন।
আজ সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রেশন দুর্নীতির তদন্তে জ্যোতিপ্রিয়র সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দমদম নাগেরবাজারে জ্যোতিপ্রিয়র আপ্তসহায়কের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। ইডি-র তল্লাশি চলাকালীন দুপুরে হঠাত্ মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে হাজির হন সব্যসাচী। তাহলে কি সব্যসাচী জানতেন না, ইডি তল্লাশি চলছে জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে? তাঁর কথায়, 'সকাল থেকে টিভি দেখিনি। তাই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডির অভিযানের বিষয়টি জানা ছিল না। শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানাতেই মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে এসেছিলাম। কী হচ্ছে, না হচ্ছে, আইন আছে, সেখানেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।' দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ি বিসি ২৪৫ বাড়িতে যান সব্যসাচী দত্ত।
মিষ্টির প্যাকেট হাতে অপেক্ষারত সব্যসাচী দত্তকে গেট থেকেই ফিরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। শুধু সব্যসাচী নন, বিধাননগরের আরও ৩ জন কাউন্সিলর মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে বিজয়া করতে আজ যান জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে। তাঁদেরও দাবি, ইডি তল্লাশি চলছে, তাঁদের জানা ছিল না।
সব্যসাচীর বক্তব্য, বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় জ্যোতিপ্রিয়কে আমন্ত্রণ জানাতেই তিনি সেখানে গিয়েছেন। বিজয়া দশমীর বিষয়টি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বুঝিয়ে বলেন সব্যসাচী। কিন্তু তাঁদের ঢুকতে দেয়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের একাধিকবার অনুরোধের পর তাঁরা বাড়িতে যান। ফিরে এসে গেটের বাইরে অপেক্ষারত সব্যসাচীদের তাঁরা জানান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দেখা করতে চাইছেন না।