চিকিৎসক সংগঠনগুলির সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক নিষ্ফলা। বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে সিনিয়র ডাক্তাররা বললেন, সরকারের তরফে কোনও প্রতিশ্রুতি মেলেনি। মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত জানান,'১০টির মধ্যে ৭টি দাবিই মানা হয়েছে। বাকি ৩টির জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া সম্ভব নয়'। এদিকে, চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠক নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার বলেন,'বৈঠক সম্পর্কে আমার জানা নেই। আন্দোলন আমরা করছি, অনশনেও আমরা। অথচ বৈঠকে ডাকা হল না'।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে সরকারের ভূমিকায় হতাশা ব্যক্ত করেন সিনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের বক্তব্য,'জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি পূরণ নিয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়নি সরকার। তাই সরকার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর আর্জি করলেও তা সম্ভব নয়।
এক সিনিয়র ডাক্তার বলেন,'বৈঠকে আরজি করে যা ঘটেছে, পুলিশের ভূমিকা, থ্রেট কালচার, দুর্নীতি, পাশ-ফেল চক্র নিয়ে কথা বলেছি। পুলিশের ভূমিকার কথাও বলেছি। সাধারণ মানুষের উপর যে অত্যাচার করা হচ্ছে, তাঁরা আমাদের কথা শুনেছেন। এগুলি দূর করবেন বলেছেন তাঁরা। তবে কবে সদর্থক ভূমিকা নেবেন, তা বলতে পারেননি। কবে করবেন, তার নিশ্চয়তা পাইনি। সবমিলিয়ে আমরা হতাশ, বিরক্ত'।
তিনি আরও বলেন,'এতগুলি ছেলেমেয়ে না খেয়ে বসে আসে, কোনও সদর্থক বার্তা পাইনি। জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবিপূরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সেটা স্বাভাবিক অবস্থা নয়'।
সরকারের তরফে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত। তাঁর কথায়, 'আমরা সবার কথা শুনেছি। বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। ১০টার মধ্যে ৭টা দাবি পূরণ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কাজ হচ্ছে। আমরা ওঁদের সেটা জানিয়েছি। টেস্টাস রিপোর্টও দিয়েছি। তিনটি দাবি নিয়ে ওঁরা টাইমলাইন চেয়েছিলেন। কিন্তু তা সম্ভব নয়। এটা পরিস্থিতি বুঝে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আমরা কোনও সময়সীমা দিতে পারব না। আমরা চাইছি,তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরুন'।