ধর্মতলায় চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন। তার অনতিদূরেই ঘটে গেল সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বৈঠক। চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার ঘণ্টাখানেক ধরে চলে সেই বৈঠক। আরজি কর-কাণ্ডে শুরু থেকেই বামমনস্ক চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানা করেছেন শাসক দলকে। পাশে দাঁড়িয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের। কুণালের সঙ্গে তাঁর বাকযুদ্ধও চলেছে। এমন প্রেক্ষাপট দুজনের বৈঠক ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। তাহলে কি রফাসূত্র খোঁজার পথে শাসক দল? নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনে অন্তত তেমন ইঙ্গিতই পেয়েছেন অনেকে।
এ দিন কুণালের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরোনোর পর সাংবাদিকদের নারায়ণ গোস্বামী বলেন,'আমি কোনও রাজনৈতিক দলের মুখপাত্রের সঙ্গে দেখা করতে আসিনি। আমি আগেও বহুবার বলেছি, মানুষ কুণাল ঘোষ আর কোনও দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আলাদা। কিছু জিনিস ক্লিয়ার করার জন্য প্রাক্তন সাংসদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম'।
আগেও কুণালের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে বলে জানান নারায়ণ। বলেন,'একটি রক্তদান শিবিরে আগেও আলাপ হয়েছিল। মানুষের সঙ্গে মানুষের দেখা-কথা হতেই পারে'। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন চলছে, সেটা কি প্রত্যাহার করতে বলবেন? নারায়ণ বলেন,' সমাধানসূত্র বের করার দায়িত্ব জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তারদের। ওয়েস্টবেঙ্গর ডক্টরস ফ্রন্টের কোনও পদে আমি নেই। আমি একজন অভিভাবক। ওরা আমার ছেলের মতো। সব ছেলেরা যেন ভালো থাকে। যাঁরা অনশন করছেন, তাঁরা জুয়েল ছেলে। ওঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। ওঁরা আমাদের চেয়ে যথেষ্ট পরিণত। ওদের কোনও অঘটন ঘটুক আমরা তো কেউ চাইব না'। এরপরই ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য,'নিঃসন্দেহে কথা বলব। তারই সংকেত হয়ত আজ!'
নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কী কথা হল? কুণাল ঘোষ বলেন,'তাঁরা মেধাবী ছেলে। শরীরের উপর চাপ নিয়ে অনশন করছেন। মুখ্যমন্ত্রী অনেক আগে থেকে সদিচ্ছা দেখিয়েছেন। কোনও না কোনওভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। সহকর্মীদের প্রতি আবেগ রাজনৈতিকভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা হচ্ছে। সিনিয়র ডাক্তাররা সেটা চাইছেন না। সুস্থ শরীরে তাঁরা বাড়ি ফিরুন। প্রতিবাদ করুন, তবে অনশন নয়। ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক ও সিনিয়র ডাক্তাররা অনশন চাইছেন না। রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে তাঁদের। ডক্টর ব্যানার্জি অভিভাবক। কিছু বিষয়ে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য এখনই করব না'।