scorecardresearch
 

RG Kar Doctor Death: 'যাতায়াতে সুবিধার জন্য বাবা গাড়ি কিনে দিয়েছিল', সুকান্তকে আর যা জানালেন নির্যাতিতার মা

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মহিলা চিকিৎসকের নির্মম হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। শনিবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের সমবেদনা জানান।

Advertisement
নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন সুকান্ত মজুমদার। ফাইল ছবি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন সুকান্ত মজুমদার। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মহিলা চিকিৎসকের নির্মম হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে।
  • শনিবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মহিলা চিকিৎসকের নির্মম হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। শনিবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের সমবেদনা জানান।

নির্যাতিতার মা জানান, “মেয়ে কখনও কলেজের সমস্যা আমাদের জানায়নি। যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছিল, তাই ওর বাবা একটি গাড়ি কিনে দিয়েছিল। যাতে কলেজে যাতায়াত করতে সুবিধা হয়। আমার মেয়ে তো চলে গেল, তবে যেন সুবিচার পায়।”
সুকান্ত মজুমদার জানান, “পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে নির্যাতিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। শরীরের ভিতরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং একটি কলার বোনও ভেঙে গেছে। ঘটনাটিতে একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।”

এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সেমিনার হলে যেখানে তরুণী চিকিৎসক ঘুমিয়ে ছিলেন, সেখানে গভীর রাতে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় প্রবেশ করে। প্রায় ৪৫ মিনিট পর তাকে সেখান থেকে বেরোতে দেখা যায়। ঘটনার সময় সঞ্জয় মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। তাকে গ্রেফতারের পর শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন

এই ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল অর্গানাইজেশন থেকে দেশের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইন চালুর দাবি তোলা হয়েছে। এছাড়া, রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন মহিলা চিকিৎসকদের শুধু দিনে ডিউটি দেওয়ার দাবি করেছে।

কলকাতার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররাও আরজিকরের পড়ুয়ার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। তবে আন্দোলনে যোগ দিতে আসা ছাত্রদের মেডিক্যাল কলেজের বাইরে বার করার সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বচসা বাঁধে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে আন্দোলনকারীরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। এই নৃশংস ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও অপরাধীদের শাস্তির জন্য সাধারণ মানুষও উদগ্রীব হয়ে রয়েছে।

Advertisement

 

Advertisement