আরজি কর কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে ঘোষকে নিয়ে শিয়ালদহ কোর্টে পৌঁছল সিবিআই। তাঁর সঙ্গে ৪ ইন্টার্ন ডাক্তারকেও আদালতে নিয়ে গেলেন তদন্তকারীরা। সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও মৃতার সঙ্গে শেষ ডিনার করেছিলেন ওই ৪ শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। আদালতে পলিগ্রাফ পরীক্ষা এবং ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন করেছে সিবিআই।
গত কয়েকদিন ধরে সন্দীপ ঘোষকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। বৃহস্পতিবার তাঁকে নিয়ে আচমকা শিয়ালদা আদালতে পৌঁছন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে ৪ ইন্টার্ন চিকিৎসকও রয়েছেন। তাঁদের পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছে। কারণ আদালতের অনুমতি ছাড়া পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো যায় না। আদালতের অনুমতি ব্যতিরেকে পলিগ্রাফ পরীক্ষা থেকে পাওয়া কোনও তথ্য প্রমাণ হিসেবে গ্রাহ্য হয় না। ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের ঘরে সন্দীপদের গোপন জবানবন্দিও নিতে চান তদন্তকারীরা। এ কারণেই ৫ জনকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত কয়েকদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ, বৃহস্পতিবার সকালেও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন সন্দীপ ঘোষ। এ নিয়ে টানা সাত দিন হাজিরা দিলেন তিনি। শুক্রবার থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। আরজি কর-কাণ্ডে তাঁর যোগসূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবার রাতে সন্দীপের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। চালানো হয় তল্লাশি। তাঁর গাড়ির চালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই গাড়িটি স্বাস্থ্য দফতরেরই।
ঘটনার পর থেকে সন্দীপের পদত্যাগ দাবি করছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। আন্দোলনের চাপেই সন্দীপ ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। সেই দিনই তাঁকে এনআরএসে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হয়। যা নিয়ে দেখা দিয়েছিল বিতর্ক। তাঁকে ছুটিতে পাঠায় কলকাতা হাইকোর্ট। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারাও নামে আন্দোলনে। বুধবার সন্দীপকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদ থেকেও অপসারণ করা হয়। আরজি করের মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হবে। শিয়ালদা কোর্টে সেই আবেদন ইতিমধ্যেই করেছে সিবিআই। যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে সিবিআইয়ের আবেদন বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় রায় দিতে হবে আদালতকে।