আর জি কর মেডিক্যাল হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে জুনিয়র মহিলা চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার। অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত সরকারি হাসপাতালে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা চিকিৎসক হাসপাতালের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে কর্মরত ছিলেন। এদিন সকালে সেমিনার রুম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দেহে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন ছিল। চিকিৎসকের বন্ধুদের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। একাংশ আবার বলছেন, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
চেস্ট মেডিসিনের এক চিকিৎসক বলেছেন, 'দ্বিতীয় বর্ষের ওই চিকিৎসকের বয়স ২৩ বছর। রাতে অনডিউটি ছিলেন। রাত দুটোর সময় পেশেন্ট দেখে ডিনারে যান তিনি। তারপর রেস্ট নিতে যান। সকালে রাউন্ডের জন্য তাঁকে ডাকতে গেলে দেখা যায় তাঁর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।শরীরে একাধিক আঁচড়ের দাগ।'
হাসপাতালের মধ্যে কর্তব্যরত এক চিকিৎসককে কে বা কারা ধর্ষণ করে খুন করল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছেছে, বিশাল পুলিশ বাহিনী। রয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
এদিকে, বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে অভিযোগ করেছেন ওই চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তিনি লেখেন, ‘কলকাতার একটি শীর্ষস্থানীয় সরকারি হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ডিউটি রুম থেকে তাঁর নগ্ন দেহ পাওয়া গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা করছে। কলকাতা পুলিশকে বিষয়টিকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখাতে বলা হয়েছে। মিডিয়াকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’ তিনি সন্দেশখালি ও চোপড়ার ঘটনা টেনে এনে বলেন, সন্দেশখালি থেকে চোপড়া পর্যন্ত কোনও মহিলাই পশ্চিমবঙ্গে নিরাপদ নয়।’